সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ধর্মীয় পতাকা টাঙানোর চেষ্টা করেছিল সংখ্যালঘুরা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রদেশের বারাউনিতে। পুলিশ জানিয়েছে গত কয়েকমাস ধরেই এখানে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। গত অগস্ট মাসে গেরুয়া সংগঠনের লোকজন সংখ্য়ালঘুদের বাড়িতে ধর্মীয় পতাকা টাঙাতে চেয়েছিলেন। তারপর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। গত ১৩ই অক্টোবর ১০ বছর বয়সী এক মুসলিম কিশোর একটি ধর্মীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় এক হিন্দু কিশোর তাকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। এরপর দুই পরিবারের সদস্য়রাও মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে পুলিশ এদিন জানিয়েছেন, মুসলিম পরিবারকে পতাকা খুলে ফেলার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্ত তারা তা শোনেনি। শেষ পর্যন্ত অপর সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবার পতাকা নামিয়ে ফেলে। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু পুলিশ দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে বুধবার বারাুউনিতে অস্ত্র হাতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার অভিযোগে পাঁচটি এফআইআর হয়েছে। তারা সরকারি কর্মীদেরও কাজে বাঁধা দেয়। একজন পুলিশ আধিকারিক সহ ২০জন পাথরের আঘাতে জখম হয়েছেন। বারাউনির সাব ডিভিশনার ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন সাম্প্রদায়িক হানাহানির জন্য জেলা প্রশাসন কেবলমাত্র দশেরা ও দুর্গাঠাকুরের প্রতীকী নিরঞ্জনের অনুমতি দিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মিলাদ উন নবির আগে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। একে অপরকে লক্ষ্য় করে নানা প্ররোচনামূলক মন্তব্য করছে। কমপক্ষে ১০০জনকে আগাম আটক করা হয়েছে।