Rape: প্রেমে প্রত্যাখ্যান, হায়দরাবাদে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন

প্রেমে প্রত্যাখ্যান। সেই ক্ষোভে নাবালিকাকে অপহরণ করে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল এক কিশোরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের জলপল্লী এলাকায়। সেখানকার একটি শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি নাবালিকার মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার হয়। তার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। আরও পড়ুনঃ টফির লোভ দেখিয়ে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, দিল্লিতে গ্রেফতার বিবাহিত যুবকপুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ, খুন সহ পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পরিবারের সঙ্গে সে থাকছিল। পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও ওই কিশোর তাদের মেয়েকে উত্যক্ত করেছে। কিশোর তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি নাবালিকা। তারপরেও কিশোর নানাভাবে তাকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। এমন কিশোর নাবালিকাকে হুমকিও দিত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান অভিভাবকরা। কিন্তু, সেখানেও শেষরক্ষা হয়নি। দু মাস আগে মেয়েটির নতুন বাড়ির সন্ধান করে ফেলে কিশোর। এরপরে তাকে আবার উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। অবশেষে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ও পরে ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের কাছে ভুবনগিরিতে এক মহিলাকে খুন করার অভিযোগে নিরাপত্তা রক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ২০২০ সালের নভেম্বরে ওই মহিলাকে হত্যা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি জরিমানা করেছে আদালত। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই হায়দরাবাদে আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এক তরুণীকে মহাত্মা গান্ধী বাস স্ট্যান্ডের কাছে দু'জন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। জানা যায়, বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর ওই তরুণী রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুজন লোক এসে তার কাছে থামে এবং তাকে বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে তরুণী তাতে রাজি না হলে ওই দুইজন তাকে জোর করে বাইকে চাপিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং দুজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। মহিলার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে গেলেও দু’জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।