ত্রিপুরা দাবি করেছিল, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য়দের ৮০ শতাংশকেই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেই দাবির প্রায় ১৩ দিন পর ত্রিপুরা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল রাজ্যের সরবরাহ করা তথ্যে ভুল রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সঠিক তথ্য পরিবেশন করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।চিফ জাস্টিস অখিল কুরেশি ও জাস্টিস শুভাশিস তলাপাত্র গত শুক্রবার কোভিড অতিমারি মোকাবিলার রাজ্যের পরিকাঠামো বিষয়ক একটি সুয়োমোটো মামলার শুনানিতে দেখেন যে দুটি স্থানীয় ইংরাজি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে ন্যাশানাল হেল্থ মিশনের ডিরেক্টর ডঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল দাবি করেছেন টিকা নিতে যোগ্যদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরপরই আদালতের নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কোনও দিক থেকেই এই তথ্য ঠিক নয়। যে তারিখে মিশন ডিরেক্টর এই দাবি করেছেন তখন ২৪,২৬, ৮০৩টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫,৬৬,৪৫৮টি দ্বিতীয় ডোজ। সেক্ষেত্রে মোট ১৮, ৬০, ৩৪৫জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। একই মানুষকে দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হয়েছে এই সংখ্যাটা মনে হয় ভুলে গিয়ে তিনি এই তথ্য পেশ করেছেন।’এদিকে কোর্ট ইতিমধ্যেই মিশন ডিরেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছে সরকারিভাবে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করতে যেখানে তাঁদের তরফে কোনও তথ্যগত ভুল ছিল সেটা উল্লেখ করতে অথবা সংবাদমাধ্যমের তরফে কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল কিনা সেটা যত দ্রুত সম্ভব সামনে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, আমরা তথ্য যাচাই করে দেখেছি। কোনও ভুল নেই। অফিস ও কোর্টের মধ্যে কোনও সমণ্বয়ের অভাব থাকতে পারে।