পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত শুরুর পর কেটে গিয়েছে দু'বছর। অবশেষে মুখোমুখিꩵ দেখা হল ভ🐻ারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়, তাতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিলেন দু'জন।
২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত এবং চিনের যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, তারপর এই প্রথমবার মুখোমুখি দেখা হল মোদী এবং জিনপিংয়ের। যে দুই রাষ্ট্র𒁃নেতা বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদী বা জিনপিংকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয় দু'জনই ছিলেন।
আরও পড়ুন: PM Modi at SCO Meeting LIVE: 'খাদ্য, শক্তির ♔অভূতপূর্ব সংꦐকট', পথ দেখালেন মোদী
মোদী এবং জিনপিংয়ের কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে?
এসসিও সম্মেলনের মধ্যেই সমরখন্দে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইরানের রাষ্ট্রপতি আয়াতোল্লা সইদ ইব্রাহিম রাইসি এবং উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি শাভকত মিরজিয়োইয়েভের 💯সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন মোদী। তবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মোদীর যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কোনও উল্লেখ করা হয়নি। মোদীর যা ঠাসা কর্মসূচি আছে, সেই পরিস্থিতিতে আচমকাও জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা কার্যত নেই বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
পূর্ব লাদাখের একাংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার ভারত এবং চিনের
চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। সেইসঙ্গে ওই এলাকায় যে অস্থায়ী গড়ে তোলা হয়েছিল, তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে দ্বন্দ্ব শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট চারবার কোনও সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত এবং চিন। এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ডেসপ্যাং এবং ডেমচকের সংঘাত𝓰পূর্ণ এলাকা থেকে বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে মিলিটারি অপারেশনসের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারে♏ল বিনোদ ভাটিয়া (অবসরপ্রাপ্ত) বলেছিলেন, 'সঠিক পথেই আলোচনা এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বাকি দুটি জায়গার সমস্যা মেটানোর জন্য রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতি দফার আলোচনার পরই যে কোনও ফল মিলবে, এমনটা আশা করা ঠিক নয়।'