ধর্ম, রাজনীতি আর ধর্মের নামে রাজনীতির বিতর্কে যখন দেশ উত্তাল তখন তারই মাঝে জীবীকা অর্জনের চেষ্টায় নতুন করে সাফ🥃ল্যের মুখ দেখলেন বিহারের ২৩ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ার।༒ এই সাফল্যের কাহিনি বিহারের কাটিহারের গুলফরাজের। ৪ লাখ টাকার পুঁজি নিয়ে তিনি বিহারে মাখানা উৎপাদনের স্টার্ট আপ শুরু করেন। শুরু হয় মাখানা প্রসেসিং এর কারখানা। যে মাখানার নাম 'মোদী ব্র্যান্ড'-এর নামে রাখা হয়।
২০২০ সালে শুরু হয়েছিল গুলফরাজের এই চ্যালেঞ্জের সফর। গুলফরাজ বলছেন, 'প্রাথমিকভাবে আমি বিপণন সম্পর্কে আতঙ্কিত ছিলাম এবং তখনই আমার মনে হঠাৎ করে ভাবনা আসে যদি এই মাখানা ব্র্যান্ডের নাম মোদী ব্র্যান্ডের আওতায় রাখা যায়।' এরপর মাখানার বিপণনে সাফল্য আসতে থাকে গুলফরাজের। দুই বছরে দুই কোটিরও বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে মোদী ব্র্যান্ডের গুলফরজারে কারখানার এই মাখানা। ২০১৯ সালে দারভাঙার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেন গুলফরাজ। পাশ করার পরই ২০১৯ সালে একটি সংস্থায় চাকরি পেয়েছিলেন গুলফরাজ। তবে🐭 ছয় মাস কাজ করার পরই ঠিক করে ফেলেন চাকরি নয়, স্টার্ট আপ শুরু করবেন তিনি। ২০২০ সালে যখন গোটা দেশ কোভিডের লকডাউনের আশঙ্কায় শঙ্কিত, তখনই 'ন্যাশনাল মাখানা উদ্যোগ' শুরু করেন গুলফরাজ।
কাটিহারের কো🌃ধা এলাকা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরের গ্রাম চারখি। সেখানে নিজের মাখানা উৎপাদন কারখানা শুরু করেন গুলফরাজ। এদিকে, ততক্ষণে বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন দেশে। বিহারেরও বহু পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরে জীবিকার সন্ধান করছিলেন। ফলে কারখানায় শ্রমের যোগান পেতে সমস্যা হয়নি গুলফরাজের। আপাতত ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে দিয়ে চলছে গুলফরাজের স্বপ্নের কারখানা। গুলফরাজ বলছেন, 'গোটা দেশের নেতা হিসাবে মোদীজির উত্থান, আমার মাখানাকেও ভারতব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে।' গুলফরাজের আশা, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের দরবারেও বড় নেতা' আর সেই সূত্র ধরে তাঁর মোদী ব্র্যান্ডের মাখানাও বিশ্বের দরবারে তাক লাগাতে পারবে। গুলফরাজের আশা , আগামী দিনে আরও বহু পরিযায়ী শ্রমিককে কাজে নিয়োগ করে ফুলে ফেঁপে উঠতে পারবে তাঁর ব্যবসায়।