আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। যা আগামী ১৩ অগস্ট শেষ হতে পারে। লোকসভার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আগামী ১৯ জুলাই থেকে সপ্তদশ লোকসভার ষষ্ঠ অধিবেশন শুরু হবে। সরকারের প্রয়োজনীতার উপর ভিত্তি করে ১৩ অগস্ট অধিবেশন শেষ হতে পারে।' তারইমধ্যে ১৯ জুলাই থেকে রাজ্যসভার অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই অধিবেশনে করোনাভাইরাসের মোকাবিলা, করোনা টিকাকরণ, খাদ্যের দাম বৃদ্ধির মতো বিষয় নিয়ে বিজেপি সরকারকে বিরোধীরা চেপে ধরবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।সরকারপক্ষ যে সেই বিরোধিতার আঁচ আগেভাগেই পেয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে, তা বিজেপির পদক্ষেপেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, বাদল অধিবেশনের আগেই নিজের মন্ত্রী পারিষদকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে যেভাবে বাধা তৈরি করছে বিরোধী দলগুলি, তা তুলে ধরতে হবে। বিরোধীদের বিভিন্ন ‘মিথ্যা’ দাবি খণ্ডনের জন্য দলের সাংসদদের তৈরি থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন। এমনিতে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয় সংসদের বাদল অধিবেশন। শেষ হয় স্বাধীনতা দিবসের আগে। সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছিলেন, সংসদের বাদল অধিবেশনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সচিবালয়ের কর্মীরা করোনা টিকা নিয়ে ফেলেছেন। ৪৪৫ সাংসদও করোনা টিকা পেয়েছে গিয়েছেন। যে কর্মী এবং সাংসদরা এখনও টিকা নেননি, তাঁরাও শীঘ্রই টিকা গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, ‘গত সেশনেও আমরা সদস্যদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছিলাম। সেইসঙ্গে সদস্যদের টিকা নেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছি। ভাগ্যবশত, করোনার সংক্রমণ কমছে। কিন্তু আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’ তবে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-তে লোকসভার স্পিকার জানিয়েছেন, অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনা টিকা নিতে হবে না। তবে মেনে চলতে হবে যাবতীয় করোনা বিধি।