ত্রিপুরায় এবার বাজেটে পর্যটন, তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিল বিজেপি সরকার। শুক্রবার ত্রিপুরা সরকারের তরফে ২০২১–২২ সালের ২২,৭২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার করমুক্ত বাজেট পেশ করে ত্রিপুরা সরকার। গত অর্থবর্ষে ১৯,২৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার বাজেট পেশ করেছিল সরকার। সেই তুলনায় এবারে বাজেটের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। ত্রিপুরার ভৌগলিক বৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেথে এই বাজেটে বিপ্লব দেব সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিশেষ জোর দিয়েছে। গত বাজেটে যেখানে সরকারের তরফে পর্যটন খাতে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা ছিল, তা এবারে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বরাদ্দ দ্বিগুণ বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রে যেখানে বরাদ্দ গত বাজেটে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা রাখা হয়েছিল, সেখানে এবারে প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে রাখা হয়েছে ৫৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পাশাপাশি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতেও এবারে ব্যয় বরাদ্দ বেড়েছে। শিক্ষাখাতে এবারে ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা গতবারের তুলনায় অনেকটা বেশি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ১৪৪৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা গত বাজেট থেকে প্রায় ৪০০ কোটি বেশি। একইসঙ্গে কৃষিক্ষেত্রেও ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণও বাড়ানো হয়। ৮৮৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১২৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মডেল গ্রাম যোজনা-সহ ১২টি প্রকল্পের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য পৃথক সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট পেশের পর ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেব জানান, এবারের বাজেটে স্বচ্ছতা, সরলীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেট ঘাটতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে কর ম্যানেজমেন্টের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে।