২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। এই দিনটি সবার নিশ্চয়ই মনে আছে। রাত ৮টার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্ꦗদ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়ে আসা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। কিন্তু চার বছর পর ২০০০ টাকা কতটা নিরাপদ? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শ🌠ুরু করেছে। কারণ ২০১৯ সালে সবথেকে বেশি জাল ২০০০ টাকার নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
এই তথ্য প্র𒈔কাশ্যে নিয়ে এসেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। এখানেই শেষ নয়, সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। এমনকী ২০১৮ সালের থেকে ২০১৯ সালে বেশি জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। এখন প্রশ্ন তাহলে এই ২০০০ টাকার নিরাপত্তা কোথায়? আর নিরাপত্তাই যদি না থাকে তাহলে তা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল কেন?
এনসিআরবি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সা💞লে ২৫.৩৯ কোটি জাল ভারতীয় টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তুলনায় ২০১৮ সালে ১৭.৯৫ কোটি জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল। সুতরাং জাল নোটের বৃদ্ধির হার ১১.৭ শতাংশ। আর কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে দাবি করা হয়েছিল, ২০০০ টাকার নোটে উচ𝄹্চ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই নিরাপত্তা এখন কোথায় গেল? উঠছে প্রশ্ন।
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ৯০ হাজার ৫৬৬টি ২০০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ জালনোট উদ্ধার হয়েছে কর্নাটক–২৩ হাজার ৫৯৯, গুজরাত–১৪ হাজার ৪৯৪ এবং পশ্চিমবঙ্গ–১৩ হাজার ৬৩৭। দেখতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তুলনায় কম জালনোট🐼 উদ্ধার হয়েছে। বাকি দুটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে সবচেয়ে বেশি জালনোট উদ্ধার হয়েছে। তাও আবার শুধু ২০০০ টাকার নোট!
আশ্চর্যজনক বিষয় হল, ২০১৯–২০ ♛অর্থবর্ষের যে রিপোর্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্🌞ক অফ ইন্ডিয়া পেশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অর্থবর্ষে একটিও ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়নি। তাহলে জালনোট এল কোথা থেকে? এই বিষয়ে ১৪টি মামলা দায়ের করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এনসিআরবি’র রিপোর্ট বলছে, ৭১ হাজার ৮১৭টি ১০০ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছিল ২০১৯ সালে। দিল্লি থেকে ৩১ হাজার ৬৭১, গুজরাত থেকে ১৬ হাজার ১৫৯ এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ৬ হাজার ১২৯টি। এখানে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই।