তাঁর মৃত কন্যার সম্পত্তি, ভরণপো꧟ষণের টাকা, বকেয়া গ্রহণের জন্য উত্তরাধিকারী হতে পারেন একজন মা। এই রায় উঠে এসেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টে। মূলত, মামলা ছিল এক ব্যক্তির। তাঁর অভিযোগ, যাঁকে তিনি ডিভোর্স করেছেন সেই মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর মা ভরণপোষণের টাকার বকেয়া দাꦛবি করে কোর্টে যান, ও আদালতের রায় তাঁর সপক্ষে পান। সেই রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করেন ব্যক্তি।
এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে সরস্বতী। যাঁকে পিটিশনার আন্নাদুরাই ১৯৯১ সালে বিয়ে করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের রাস্তা নেন, ও চেয়ুর সাব কোর্টে ডিভোর্সের মামলা দায়ের হয়। এরপর মুদুরান্তগম ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সরস্বতী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করে প্রতি মাসে ৭,৫০০ টাকার ভরণপোষণ দাবি করেন। পরে ২০২১ সালে সেই ভরণপোষণের অর্থের বকেয়া ৬.৩৭ লাখ টাকা দাবি করেন সর𒆙স্বতী। মামলা যায় কোর্টে। ২০২১ সালের ৫ জুন সরস্বতী মারা যান। তারপর সরস্বতীর মা জয়া সেই ভরণপোষণের বকেয়ার জন্য কোর্টে মামলা করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তখন তাঁকে সেই ভরণপোষণের অর্থ প্রাপ্তির সপক্ষে রায় দেয়। কারণ সরস্বতীর কোনও সন্তান ছিল না, আর তাই তাঁর মাকে বৈধ উত্তরাধিকারী হিসাবে গণ্য করে কোর্ট। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে যান আন্নাদুরাই। সেই কোর্টেই জানানো হয় যে, মৃতা মহিলার মা তাঁর ভরণ পোষণের বকেয়া টাকা পাওয়ার অধিকারী।
( ‘আমি সাপ, কিন্তু♎…’, খাড়গের ‘বিষধর’ মন্তব্যে কন্নড়ভূম থেকে জবাব মোদীর)
'হিন্দু সাকসেশন অ্যাক্ট' এর আওতায় আইন অনুযায়ী এই রায় দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আইন বলছে, কোনও হিন্দু মহিলার সম্পত্তি প্রথমে তাঁর ছেলে ও মেয়ের কাছে যায়। সন্তান না থাকলে তাঁর স্বামীর কাছে যায় সম্পত্তি। তবে যদি কেউ স্বামী বা স্ত্রী হিসাবে না থাকেন আইনতভাবে, তাহলে দুই পক্ষের সম্মতিতে সম্পত্তির অধিকার তাঁদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। এই বিষ♚য়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকটি রায়কে সামনে রেখে নিম্ন আদালতের রায় আন্নাদুরাইয়ের পিটিশনের মামলায় ধরে রেখে রায় দিয়েছে কোর্ট।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT Ap🌺p ডাউনলোড করার লিঙ্ক