জ൲ীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল পুলিশ এবং পুরসভা। নিজের সন্তানকে ফিরে পেতে লড়েছেন দীর্ঘ আইনি লড়াই। অবশেষে নিজের সন্তানকে ফিরে পেতে চলেছেন মহিলা। ঘটনাটি গয়ার রামপুর থানার অন্তর্গত গোদাবরী গ্রামের। ওই মহিলার নাম মুন্নি দেবী। তার সন্তানের বয়স যখন আট মাস তখন তাকে মৃত ঘোষণা করে তার কাছ থেকে 🐓আলাদা করা হয়েছিল। বর্তমানে মুন্নির সন্তানের বয়স সাত বছর। পাটনা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে নিজের সন্তানকে ফিরে পেতে চলছেন মহিলা।
জানা গিয়েছে, নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগে মুন্নিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় তার জেল হয়। সেই সময় তার সন্তানের বয়স ছিল মাত্র পাঁচ মাস। জেলে থাকার সময় মুন্নির শ্বশুড় বাড়িতে ছিল তার সন্তান। পরে মুন্নিকে জানানো হয় যে তার সন্তান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ৯ মাস জেলཧে থাকার পর জামিন পান মুন্নি। প্রথম থেকেই তার সন্দেহ ছিল যে তাকে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। এরপর মুন্নি নিজে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তার সন্তান জীবিত রয়েছে। এরপর তিনি নিজের সন্তানকে ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু, তাকে পুনরায় জানানো হয় যে তার সন্তান বেঁচে নেই।
আরও পড়ুন:সরকারি হাসপাতালে তেল ভেবে অ্যাসিড লাগানো হল মা ও সদ্যোজাতকে! চাঞ্চল্✤য এলাকায়
অবশেষে ২০২১ সালে পাটনা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুন্নি। মুন্নির তোলা ছবি ও নথিপত্র দেখে শিশুটি বেঁচে আছে বলে আদালত নিশ্চিত করে। এরপরেই হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে গয়ার এসএসপি হারপ্র⛄ীত কৌর তদন্তꦬে নেমে পড়েন। অবশেষে শিশুটিকে মুন্নির শ্বশুড় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তাকে একটি হোমে রাখা হয়েছে।
মুন্নি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে কোলে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমি বুঝত🐻ে পারি যে সে আমাকে চিনতে পারবে না। কারণ আমি তার থেকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ছিলাম। আমি সব সময় নিশ্চিত ছিলাম যে সে বেঁচে আছে। আমি জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে গত ছয় বছরে তাকে কয়েকবার গোপনে দেখেছি। আমার ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে মিথ্যা শংসাপত্র তৈরি করা সত্ত্বেও আমি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত লড়াই করেছি।’
গয়ার এসএসপি হরপ্রীত কৌর জানান, ‘আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করেছি এবং মুন্নি তার কাছে থাকা ছবির ভিত্তিতে শিশুকে শনাক্ত করেছেন। তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা অনুমতি নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা ক🍌রব। তারপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।’