সোমবার রাতে মুম্বাইয়ের কুরলায় 🐈একটি চারতলা ভবন হঠাৎ ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় ভবনটিতে ২০ থেকে ২৫ জন ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা সবাই ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যায়। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়💧েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে চাপা পড়া বেশিরভাগ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু লোক এখনও সেখানে আটকা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। তিনি বলেন যে ধসে পড়া ভবনটি খুব জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। লোকজনকে ভবনটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশও জারি করা হয়েছিল আগে।
ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের কুরলার নায়েক নগরের। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধারকাজের তৎপরতা অব্যাহত র🃏য়েছে। ঘটনার ছবি প্রকাশ করে সংবাদ সไংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে ঘটনার সময় ২০ থেকে ২৫ জন লোক ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। দমকলকর্মীদের দল ও পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে বের করে আনতে শুরু করে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, উদ্ধার অভিযান চলছে এবং এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ধ্বংসাবশেষের নিচে থেকে। উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে এনডিআরএফকেও ডাকা হয়েছে। এনডিআরএফ কর্মীরা সরঞ্জাম সহ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছেন। উদ্ধারকাজে নজর রাখছেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহারাষ্ট্রের ক্যাবিনেট𒆙 মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে জানান, এই চারতলা ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। এসব এলাকায় বসবাসকারীদের ভবন খালি করার নোটিশ জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা সেখানে জোরপূর্বক বসবাস করে আসছিল। এ কারণে ভবনটি ধসে পড়ে যায় এবং এর নিচে চাপা পড়ে মানুষ। তিনি আরও বলেছেন যে বিএমসি যখন এই ভবনের বাসিন্দাদের নোটিশ জারি করেছিল, তখন এটি স্বেচ্ছায় খালি করা উচিত ছিল তাদের। এটা করা হলে দুর্ঘটনা ঘটলেও মানুষের ক্ষতি হত না। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের জরাজীর্ণ ভবন খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’