আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ। ২৪ বছর বয়সী এক ছাত্র কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে, হাতুড়ি দিয়ে মেরে তার বাবা মাকে হত্য়া করেছে বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় একটি স্টিম আয়রনও ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যেই ২৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে আলিগড়ের জাকির নগরে ওই ছাত্রকে নৃশংসভাবে তার বাবা মাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রের নাম গুলামউদ্দিন। সে এএমইউর বিকম শাখার ছাত্র। তার বিরুদ্ধে আলিগড়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্র সাধারণত তার বাবা মায়ের সঙ্গেই ঘুমাতো। আচমকাই সে একটি কাঁচি দিয়ে হামলা চালায়। প্রথমে সে তার বাবা ইশাক আলিকে কাঁচি দিয়ে খুন করে। তার বাবার বয়স ৬০ বছর। এরপর তার মা ৫৭ বছর বয়সী শেহজাদি বেগমকে হত্যা করে। ছেলে যখন কাঁচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার বাবা মা তীব্র আর্তনাদ শুরু করে দেন। তখনই ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয় গুলামুদ্দিন। তার অন্যান্য ভাইবোনেরা এই কাজ থেকে বিরত হওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু তাতেও থামেনি গুলাম উদ্দিন। এরপরই একটি ইস্ত্রি দিয়ে সে দুজনকে আঘাত করে। এমনকী তারা মারা যাওয়ার পরেও সে আঘাত করতে থাকে।কিন্তু কেন এই নৃশংসভাবে বাবা মাকে খুন করল ছেলে? আলিগড়ে সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ কালানিধি নইথানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে প্রথমে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। কাঁচি ও ইস্ত্রি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কে সে খুন করল সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সন্তানের সঙ্গে বাবা মায়ের সব সময় মতের অমিল ছিল। তার জেরেই তাদের মধ্য়ে রাগারাগি হত মাঝেমধ্যে। কিন্তু এভাবে বাবা মাকে খুনের ঘটনার জেরে তদন্ত চলছে। নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে।পুলিশ সূত্রে খবর, তার বাবা ছিলেন মসজিদের ইমাম। মা গৃহবধূ। এদিকে চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। তারা জানালা খুলে ফেলেছিলেন। সেখান দিয়ে খুনের ঘটনার রেকর্ডিংও করা হয়েছে। ভয়াবহ সেই দৃশ্য। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।বাড়ির মালিকের দাবি, সন্তানদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য রামপুর থেকে জাকির নগরে এসে থাকতেন ইশাক আলি। গুলাম উদ্দিনের কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।