অসমের কাছার জেলার বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী আফজল হুসেন মজুমদার। পরিবারের দাবি, গোপনেই কালী পুজো করতেন তিনি। তাঁর ধর্মের লোকজনও পছন্দ করত না বিষয়টি। রবিবার সন্ধ্যায় সেই আফজলকেই পিটিয়ে খুন করল উন্মত্ত জনতা। তার মা আফরোজ বিবি মজুমদারের দাবি, আমার ছেলের একটি নমাজও বাদ যেত না। তবে ইদানিং সে গোপনে কালী পুজো করত। কিন্তু নিজের ধর্মও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করত। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন এনিয়ে তাকে শাসিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সে পুজোর কাজ চালিয়ে গিয়েছে। আর তার পরিণতিতেই এভাবে মারা হল তাকে। আফজলের মা জানিয়েছেন, এটা ওর ব্যক্তিগত পছন্দ ছিল। আমরা কখনও বিরোধিতা করিনি। কিন্তু কিছু মানুষ এটা পছন্দ করত না। তারাই মেরে ফেলল ছেলেটাকে। তার মায়ের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন বাড়িতে আসে। তারা আফজলকে বেরিয়ে আসতে বলে। কিন্তু সে বেরোয়নি। এরপর জোর করে তারা ঘরে ঢোকে। এরপর নির্বিচারে তাকে ওরা কোপাতে থাকে। তার স্ত্রী বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাকেও মারধর করা হয়। এরপর বাড়ির কাছেই ওর দেহ আমরা পাই। এদিকে লখিমপুরের এসডিপিও কুলপ্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এটা স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে হয়েছে। পরিবারের কেউ প্রত্যক্ষদর্শী নয়। অন্যদিকে স্থানীয়দের অনেকেই আফজলের মায়ের দাবি মানতে চাননি। তাঁদের দাবি আফজল নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে খুন, চুরির পুরানো অভিযোগ রয়েছে।