মুসলিম পুরুষদের বহুবিবাহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, একজন মুসলিম পুরুষের বহুবিবাহে কোনও আইনি বাধা নেই। ১৯৯৮ সালের মহারাষ্ট্র রেগুলেশন অফ ম্যারেজ ব্যুরোস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে মুসলিম পুরুষরা একাধিক বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। বিচারপতি বিপি কোলাবাওয়াল্লা এবং বিচারপতি সোমশেখর সুন্দরেশানের বেঞ্চ বলছে, মুসলিম পুরুষদে♒র বহুবিবাহ মুসলিম পার্সোনাল ল - এর অধীনে অনুমোদিত।
আরও পড়ুন: অসমে মুসলিম বিবাহ সরকারি খাতায় তඣোলা বাধ্যতামূলক, বিল পাশ হল বিধানসভায়
আদালত বলেছে, এই সব ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারকে নিশ্চিত করতে হবে যে বিবাহ মুসলিম পার্সোনাল ল-এর🍌 অধীনে হচ্ছে কিনা। এই আইনের অধীনে একজন মুসলিম পুরুষ একবারে ৪ জন স্ত্রী রাখার অধিকারী। প্রসঙ্গত, থানে পুরসভা এলাকার এক মুসলিম ব্যক্তির করা মামলায় এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই দুটি বিয়ে সেরে ফেলেছেন। এরপর আলজেরিয়ার এক মহিলাকে ফের বিয়ে করেন তিনি। তবে থানে পুরসভা ওই ব্যক্তির তৃতীয় বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে অস্বীকার করে। পুরসভার তরফে জানানো হয়, দম্পতি প্রয়োজনীয় নথিপত্র সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং যুক্তি দিয়ে♌ছে যে আইন শুধুমাত্র মুসলিম পুরুষদের জন্য একক বিবাহ নিবন্ধনের অনুমতি দেয়। এরপরেই বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দম্পতি।
শুনানির সময়, দম্পতির আইনজীবী পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে, পুরসভার আইনজীবী জানান, দম্পতি পরিচয় এবং জন্ম প্রমাণ সহ প্রয়োজনীয় নথি জমা দেননি। তবে, আবেদনকারীদের আইনজীবী দাবি করেছেন, যে সমস্ত প্রয়োজনীয় ꦺনথি সরবরাহ করা হয়েছে। আদালত জানায়, যদি আমরা পুরসভার যুক্তি গ্রহণ করলে এর কার্যকরী অর্থ হবে মুসলিম পার্সোনাল ল-কে অগ্রাহ্য করা। আদালত পুরসভা কর্তৃপক্ষের ক্রিয়াকলাপের অসঙ্গতিকেও চিহ্নিত করেছে। এর আগে মরক্কোর এক মহিলার সঙ্গে দ্বিতীয় ব𒁃িয়ে সেরেছিলেন আবেদনকারী ব্যক্তি। ১৯৯৮ সালের মহারাষ্ট্র রেগুলেশন অফ ম্যারেজ ব্যুরোস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী সেই বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, আদালত আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষকে ဣপ্রয়োজনীয় নথি গ্রহণ করার এবং দম্পতির জন্য ব্যক্তিগত শুনানি পরিচালনার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ, শুনানি শেষ হওয়ার দশ দিনের মধ্যে একটি যুক্তিযুক্ত আদেশ অবশ্যই দিতে হবে। সেক্ষেত্রে হয় বিয়ের নিবন্ধন মঞ্জুর করতে হবে বা অস্বীকার করা𓃲। যদি অস্বীকার করা হয়, বিষয়টি আরও পর্যালোচনা ও শুনানির জন্য আইনের অধীনে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।