🦄 ঘোষণামতোই বিধানসভায় বাধ্যতামূলক মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ও বিবাহ বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন বিল পাস করল অসম সরকার। এই বিলের লক্ষ্যই হল রাজ্যে বাল্যবিবাহ রোধ করা। মঙ্গলবার শুল্ক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী যোগেন মোহন অসম বিধানসভায় বাধ্যতামূলক মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন এবং বিবাহবিচ্ছেদ বিল ২০২৪ পেশ করেন। অসমে এই নতুন আইন কার্যকর হলে বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে বলে মনে করছে সরকার।
আরও পড়ুন: 🔯বাল্য বিবাহ রুখতে মুসলিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে চলছে অসম
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা🅘 নিশ্চিত করেছেন, যে আগে কাজীদের মাধ্যমে যে সমস্ত বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে সেই সমস্ত বিয়ে বৈধ থাকবে। তবে নতুন বিয়ে হলে এই বিলের আওতায় আসবে। তিনি বলেন, ‘মুসলিম পার্সোনাল ল-এর অধীনে ইসলামিক আচার-অনুষ্ঠান দ্বারা সম্পন্ন বিবাহে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করছি না। আমাদের একমাত্র শর্ত হল ইসলাম নিষিদ্ধ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা হবে না।’ মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বিল অসমে কার্যকর হওয়ার ফলে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের রেজিস্ট্রেশন এখন সরকারের কাছে বাধ্যতামূলক। বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবে না সরকার এবং সেই বিয়ে বৈধ বলে বিবেচিত হবে না।
♈এই বিলটি কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, বাল্যবিবাহ এবং উভয় পক্ষের সম্মতি ছাড়া বিয়ে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে সরকার। রাজ্য বিধানসভায় মোহন বলেছেন, এই বিলটি পুরুষদের বহু বিবাহ রোধ করতেও বাধা দেবে। বিবাহিত মহিলাদের তাদের স্বামীর ঘরে বসবাসের অধিকার, ভরণপোষণ ইত্যাদির পক্ষে। এছাড়াও, বিধবাদের উত্তরাধিকার এবং স্বামীর মৃত্যুর পর তারা যে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারী তা দাবি করতে সক্ষম হবেন।
অসমের☂ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আগে কাজীর মাধ্যমে মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা হতো। তবে, এই নতুন বিল সম্প্রদায়ের সমস্ত বিবাহ সরকার রেজিস্ট্রেশন করবে।’
🔯উল্লেখ্য, এর আগের দিন বিধানসভায় বিধানসভায় অসম রিপিলিং বিল ২০২৪ পাশ হয়েছে। মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন ১৯৩৫ বাতিল হয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র বাল্যবিবাহ বন্ধ করা নয়, কাজী প্রথা থেকে মুক্তি দেওয়াও। আমরা সরকারি ব্যবস্থার অধীনে মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের রেজিস্ট্রেশন করতে চাই।’ এনিয়ে অসম সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে অসম সরকার।