কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রতিনিধি দলের সদ𝔍স্যরা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় নাগাল্যান্ড সফর বাতিল করল তৃণমূল। তারইমধ্যে আজ সংসদের উভয় কক্ষে নাগাল্যান্ডের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রবিবার নাগাল্যান্ডে ১৪ জন মৃত সাধারণ নাগরিকের ‘পাশে’ দাঁড়াতে আজ উত্তর-পূর্ব রাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের। সেজন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতারা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেই সফর বাতিল করে দেয় তৃণমূল। তারইমধ্যে বিমানবন্দরে আফস্পা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি জানান, নাগাল্যান্ডের ঘটনার পর আফস্পা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী𝔉র হাতে ‘খুন’ হয়েছেন মানুষ। এই ঘটনা কেউ মানতে পারছেন না। সম্প্রতি আবার বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিষয়টি নিয়ে সংসদেও প্রশ্ন তোলা হয়। নাগাল্যান্ডের সাংসস টি ইয়েপথোমি দাবি করেন, নাগাল্যান্ডের ঘটনায় তদন্ত করা উচিত। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারপিছু পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। কেন্দ্রেরও আর্থিক সাহায্য প্রদান করা উ🐎চিত। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি আবার আফস্পা বাতিলের দাবি তোলেন। তারইমধ্যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানান, মধ্যাহ্নভোজের পর নাগাল্যান্ডের ঘটনা নিয়ে সংসদে বিবৃতি দেবেন♕ শাহ।
কী হয়েছিল নাগাল্যান্ডের?
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাগাল্য💫ান্ডের মনের ওটিঙে নিষিদ্ধ সংগঠন ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ডের (এনএসসিএন) একটি গোষ্ঠীর সদস্য ভেবে 'ভুলবশত' একটি পিক-আপ ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। মৃত্যু হয় ছ'জনের। কিন্তু পিক-আপ ভ্যানে স্থানীয় বাসিন্দারা ছিলেন। যাঁরা কয়লা খাদান থেকে কাজ করে ফিরছিলেন। বাড়ি না ফেরায় তাঁদের খোঁজ শুরু করেন স্থানীয় যুবক এবং গ্রামবাসীরা। ঘিরে ফেলা হয় সেনার গাড়ি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেনার একাধিক গাড়ি। 'আত্মরক্ষায়' গুলি চালায় সেনা। তার জেরে আরও সাত নাগরিকের মৃত্যু হয়। অসম রাইফেলসের শিবিরের এলাকায় হামলা চালান একদল লোক। সেই সময় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন কমপক্ষে দু'জন।