বোয়িংয়ের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরই ফোনে কথা হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মো🌃দী এবং মার্ক☂িন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের সময় মোদী জানান, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া ও মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের মধ্যে যে চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতাই। জো বাইডেন মোদীকে জানান, এই চুক্তির ফলে আমেরিকার ৪৪টি প্রদেশে প্রায় ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এয়ার ইন্ডিয়া এবং বোয়িং এর মধ্যে চুক্তি আদতে দুই দেশের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ বলে আখ্যা দেন উভয় রাষ্ট্রনেতাই।
ফোনালাপের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদীর উষ্ণ ও ফলপ্রসূ বার্তালাপ হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই রাষ্ট্রনেতাই ভারত-মার্কিন সমন্বয়ে বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের গভীরতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এর ফলস্বরূপ সব ক্ষেত্রেই শক্তিশা🌱লী ভাবে বেড়ে চলেছে দুই দেশ। কথোপকথনের সময় মহাকাশ বিজ্ঞান, সেমি-কন্ডাক্টার, সরবরাহ চেইন, প্রতিরক্ষা সহ-উৎপাদন এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন মোদী। দুই দেশই যাতে জ্ঞান এবং উদ্ভাবন নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, সেই প্রস্তাবও রেখেছেন মোদী। এছাড়া ভারতের সভাপতিত্বে যাতে জি-২০ সম্মেলন সফল হয়, তার জন্য আমেরিকাকেও পাশে থাকার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বোয়িংয়ের পাশাপাশি ফরাসি সংস্থা এয়ারবাসের সঙ্গেও ঐতিহাসিক চুক্তি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ারবাসের চুক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, এই চুক্তি ভারไতের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি ভারত ও ফ্রান্সের বন্ধুত্বের প্রতিফলন। এর পাশাপাশি ভারতের বিমান চালনা ক্ষেত্রের সাফল্যের উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছর ধরে ভারতে মোট বিমানবন্দরের সংখ্যা ৭৪ থেকে বেড়ে ১৪৭টি হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হয়ে উঠছে। আগামী ১৫ বছরে ভারতের ২,০০০-এরও বেশি বিমানের প্রয়োজন হবে। এই চাহিদা যাতে ভারত নিজেই মেটাতে পারে, সেই দিকে জোর দেওয়ার ইঙ্গিতও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'মেক ইন ইন্ডিয়া-ম꧙েক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড' নীতিতেই আগামীতে উন্নতির পথে হাঁটবে ভারত। অন্যদিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ভারতের অসামান্য উন্নয়নের দৌড়ের একজন অংশীদার হতে পেরেছে এয়ারবাস। পাশাপাশি তিনি জানান, ভারতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং মেক-ইন-ইন্ডিয়ার অংশ হয়ে ওঠার বিষয়ে ফ্রান্স প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।