গত ২৩ অগস্ট সফল ভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। তা থেকে বেরিয়ে এসে চাঁদের মাটিতে হাঁটতেও শুরু করে দিয়েছে রোভার 'প্রজ্ঞান'। এর আগের বার চন্দ্রযান ২ অবতরণের সময় বেঙ্গালুরুর ইসট্র্যাক-এ (টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্সে) ছিলেন মো🌼দী। তবে এবারে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে তাঁকে যেতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর তাঁর বিদেশ সফর সেরে রীতি মতো দিল্লি না ফিরে সোজা বেঙ্গালুরুতে এসে নামলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ আর কিছুক্ষণে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দরের বাইরে সমাগত জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ রাখেন মোদী। সেখানেই তিনি স্লোগান তোলেন, 'জয় জওয়ান, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান'।
এদিকে দেশের মাটিতে🥂 পা রেখেই এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় মোদী লেখেন, 'বেঙ্গালুরুতে অবতরণ করেছি। এবার ইসরোর অসাধারণ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলতে যাব। আমাদের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে গোটা ভারত গর্বিত। বিজ্ঞানীরা যেভাবে নিজেদের এই কাজে উৎসর্গ করেছেন, সেই ইচ্ছাশক্তিই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।' আজ টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা মোদীর। চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানাবেন মোদী।
এর আগে চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মোদী বলেছিলেন, 'আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যরা যখন নিজেদের চোখের সামনে এরকম ইতিহাস তৈরি হতে দেখি, তখন জীবন ধন্য হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য গর্বের বিষয়। এই মুহূর্তটা অবিস্মরণীয়। এই মুহূর্তটা উন্নত ভারতের জয়জয়কারের মুহূর্ত।' মোদী আরও বলেন, 'আগে বলা হত যে চাঁদমামা অনেক দূরে আছে। শিশুরা বলত যে চাঁদমামা অনেক দূরে আছে। এবার এমন একটি দিন আসবে, যখন শিশুরা বলবে যে চাঁদমামা একটি ট্যুরের দূরে আছে।' তাঁর কথায়, 'ভারত যে চন্দ্রযান ৩ মিশনে যে সফল হয়েছে, সেটা শুধু ভারতের সাফল্য নয়, আমরা এক বিশ্বের ধাꦡরণায় বিশ্বাস করি। আমাদের এক পৃথিবী, এক পরিবারের তত্ত্ব বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সেই মানবিকতার ধারণার উপর নির্ভর করেই চন্দ্রাভিযান হয়েছে। তাই এই সাফল্য মনুষ্যত্বের।'