এক দু বছর আগের ঘটনা নয়। ৫০ বছর আগের ঘটনা। এই ২৫শে জুন হল ভার🔯তে জরুরী অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্তি। ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক কালো অধ্য়ায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসী জমানার সেই ভয়াবহ কালো দিকটা তুলে ধরেন। সেই সময় মোদী কীভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতেন সেকথা বলা হয়েছে।
সোমবার লোকসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার আগে মোদী জানিয়ে দেন আর যাতে কোনও দিন এই ধরনের পরিস্থিতি ভারতে ফিরে না আসে সেটা সবার আগে দেখব। মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, যে কোনও ধরনের দমন পীড়ন থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য় সবরকম চেষ্টা চালিয়ে𝓀 যাব।
মোদী লিখেছেন, এই যে জরুরী অবস্থার ব্যাপার সেটা ঠিক ২৫শে জুন থেকে শুরু হয়নি। কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সেই সময় গুজরাটে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়েছিꦜল। ১৯৭৪ সালে গুজরাটে শুরু হয়েছিল নবনির্মাণ আন্দোলন। সেই সময় দেখা গিয়েছিল পড়ুয়াদের শক্তি। সেই সময় আরএসএসের যুব প্রচারক ছিলেন♋ তিনি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আওতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি যুবকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছিলেন ক্রমাগত।
এদিকে জরুরী অবস্থা জারির পরেই মোদী সেই প🐈্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেই সময় তিনি ও তাঁর সতীর্থরা নানা ধরনের মিটিং করতেন কিছুটা আড়ালে।
সেই সময় সিনিয়র আরএসএস🧸 নেতা নাথ জাগড়ꦦা, বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি তথ্য় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিছুটা অভিনব পথ নিয়েছিলেন। সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু সামগ্রী তিনি সংগ্রহ করেন।
এদিকে আরএসএস তখন কার্যত আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেই সময় তৈরি করা হয়েছিল গুজরাট লোক সংঘর্ষ সমিতি। সেই সময় মাত্ꦗর ২৫ বছর বয়সে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক পদে উঠে এসে𒁏ছিলেন মোদী।
সেই সময় নানা লেখালেখি করতেন মোদী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর সেই লেখা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সেই সময় যাতে চিহ্নিত না হ🐽য়ে যান সেকারণে নরেন্দ্র মোদী কখনও স্বামীজি, কখনও শিখের ছদ্মবেশ ধরতেন।
এদিকে ১৯৭৭ সালে জরুরী অবস্থা উঠে যাওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী ক্রমেই জাতীয় ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে থাকেন। ১৯৭৮ সালে মোদী তা🦹ঁর প্রথম বই সংঘর্ষ মা গুজরাট লেখেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৭ বছর। তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী বাবুভাই যশভাই পটেল এই বইয়ের উদ্বোধন করেন।