শিশির গুপ্তা
'দ্য ম্যান, দ্য মিথ, দ্য লেজেন্ড'- ইংরেজিতে সেই যে গানটা আছে, তা ভারতের যে যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য হতে পারে, তা নিয়ে যদি কোনও তালিকা তৈরি করা 🙈হয়, তাহলে সেটার উপরের দিকেই থাকবেন অজিত ডোভাল। আর কেন তিনি তালিকার উপরের দিকে থাকবেন, সেটার প্রমাণ আবারও দিলেন ভারতের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'ক্রাইসিস ম্যান'। কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনা আটজন প্রাক্তন অফিসারকে যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে ডোভালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনার আটজন প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যেখানে একটা দিক সামলাচ্ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, তখন অন্যদিকে ‘সিক্রেট ওয়েপন’ ডোভালকে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোদী। কূটনৈতিক পথে আলোচনা চালাচ্ছিলেন জয়শংকর। আরও খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাতারের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মোদীর ডোভাল। সেজন্য একাধিকবার দোহায় গিয়েছিলেন। সেটা অবশ্য কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি প্রাক্তন ‘স্পাই’ বা গুপ্তচর। কোনওরকম হইচই ছাড়াই ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলেন।
দুই ‘অস্ত্র’ জয়শংকর এবং ডোভালকে ‘ক্রিজে’ পাঠানোর মধ্যেই নিজেও ময়দানে নেমে পড়েছিলেন মোদী। গত ডিসেম্বরের গোড়াতেই দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের আমির শেখ তামি🃏ম হামাদ আল-থানির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ভারতীয় নৌসেনার ওই আট প্রাক্তন অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড সাজা ঘোষণার পাঁচ সপ্তাহ পরে সেই বৈঠকে মোদী যে মন্তব্য করেছিলেন, তা অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী ছিল। কাতারে বসবাসকারী ভারতীয়দের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে কাতারের আমিরের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত রসায়নও কাজে লাগিয়েছিলেন মোদী।
আর সেইসব কিছুর ফলশ্রুতি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের মুখ থেকে ভারতীয় নৌসেনার আটজন প্রাক্তন অফিসারকে মৃত্যুর ♎মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারল নয়াদিল্লি। সোমবার ভোররাতে সাতজন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ভ🗹ারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ডোভালের নাম অবশ্য কেউ আলাদাভাবে কেউ নেননি।
আর সেটাই সম্ভবত ডোভালের সবথেকে বড় সাফল্য। আড়ালে-আবডালে চুপচাপ নিজের আসল কাজটা করে যান। মোদীর ‘সিক্রেট ওয়েপন’ হয়ে নয়া-নয়া চ্যালেঞ্জ সামলান। ত🦂াতে সফলও হন। ঠিক যেমনটা নিজের ‘স্পাই’ জীবনে করতেন। তাই তো পাকিস্তানে তিনি সফল হন। সাফল্য পান অমৃতসরে। বাজিমাত ক🦋রেন কাতারেও।