সেনাবাহিনী নিয়ে কাশ্মীরীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। কিন্তু সেনা যে কোনও একমাত্রিক বিষয় নয়, সেখানেও ভালো ও খারাপ সব রকমের মানুষ আছে, স♏েটা ফের উঠে গেল একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কথায়। কীভাবে সেনার এক অফিসারের জন্যেই অল্পের জন্য তিনি উগ্রপন্থার পথে যাননি, গণতন্ত্রে আস্থা রেখেছেন, সেটাই বলেছেন তিনি।
এক সৈনিকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুললেন জম্মু ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়ক কায়স𝓡ার জামশাইদ লোন। বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, ছোট বেলায় জম্মু ও কাশ্মীরে একটি সেনা অভিযানের সময় তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছিল। আর সেই কারণে তিনি জঙ্গি হতে চ✅েয়েচিলেন। একইসঙ্গে তাঁর মনোভাব পরিবর্তনের জন্য এক সেনা অফিসারের ভূমিকারও প্রশংসা করেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের C🎃M হিসেবে শপথ নিলেন ওমর, 'অখুশি' কংগ্রেস যোগ দিল না মন্ত্রিসভায়
জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নেওয়ার♕ সময় শুক্রবার কায়সার জানান, তিনি কিশোর বয়সে সেনা অভিযানের সময় একজন সেনা জওয়ান তাঁর ওপর নির্যাতন ও লাঞ্চিত করেছিলেন। তারই প্রতিবাদে তিনি চেয়েছিলেন জঙ্গি হতে। কিন্তু, একজন সিনিয়র অফিসারের পদক্ষেপের পর শাসন ব্যবস্থার ওপর তাঁর বিশ্বাস ফিরে আসে। বিধায়ক বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার এলাকায় সেনার তল্লাশি অভিযান হয়েছিল। আমি তখন দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিলাম। সেখানে আমি সহ ৩২ জন কিশোর ছিলাম। আমাদের সকলকেই সেনারা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘একজন জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। সে বিষয়েই আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচꦉ্ছিল। আমি তাকে চিনি কি না তা জানতে চেয়েছিলেন ওই সেনা অফিসার। তখন আমি বলেছিলাম হ্যাঁ আমি তাকে চিনি, কারণ সে আমাদের এলাকায় থাকে। শুধু এর জন্য আমাকে মারধর করা হয়েছিল। তারপর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমি জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িত আছি কি না। তখন আমি উত্তরে না বলতেই আমাকে আবার মারধর করা হয়েছিল। সেই সময় আমার জঙ্গি হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল।
তবে কীভাবে তাঁর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস ফিরে এসেছিল সে বিষয়েও জানান তিনি। বিধায়ক বলেন, ‘সেনার ওই জওয়ান মারধরের পরে একজন ঊর্ধ্বতন সেনা অফিসার ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞ🔥েস করেছিলেন তুমি জীবনে কী চাও? আমি তাঁকে বলেছিলাম যে আমি একজন জঙ্গি হতে চাই। তবে এরজন্য তিনি আমাকে মারধর বা অপমান করেননি। বরং আমার এমন মনোভাবের কারণ জানতে চেয়েছিলেন। আর উত্তরে আমি তাঁকে ওই সেনার মারধর ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছিলাম।’ কায়সার জানান, এরপর ওই ঊর্ধ্বতন সেনা অফিসার তাঁর জুনিয়রকে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেছিলেন। আর তারপরেই শাসন ব্যবস্থার প্রতি তাঁর বিশ্বাস পুনরায় ফিরে আসে। 𒐪বিধায়ক আরও জানান, তিনি পরে জানতে পারেন যে ৩২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ২৭ জন উগ্রপন্থায় যোগ দিয়েছে।