এনসিপি-কে ভাঙিয়ে অজিত পাওয়ারকে নিজেদের দিকে টেনেছিল বিজেপি। তবে এরপরে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বিরোধী জোটের তুলনায় অনেক কম আসন আসে এনডিএ-র ঝুলিতে। অজিত পাওয়ার যে ৪টি আসনে লড়েছেন, তার মধ্যে মাত্র ১টিতে জয় এসেছে। আর ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র থেকে ২৩টি আসনে জেতা বিজেপি এবার সেই রাজ্য থেকে পেয়েছে মাত্র ৯টি আসন। এই পরিস্থিতিতে এনসিপি-র সঙ্গে বিজেপির জোটকে তোপ দাগা হয়েছে আরএসএস-এর মুখপত্র 'অর্গনাইজার'-এর এক সম্পাদকীয় প্রতিবেদবনে। এই পরিস্থিতিতে জল্পনা তৈরি হয়েছে, বিজেপি কি ২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের আগে অজিত পাওয়ারের সঙ্গ ত্যাগ করবে? (আরও পড়ুন: দিতে হবে ২৮ লাখ, সঙ্গ🙈ে ৯ বছরের জন্য ৮% সুদ,𝔍 বড় রায় বাংলার সরকারি কর্মীর পক্ষে)
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি কর্মীদের পকেটে ঢুকবে𝓰 বেশি বেতন, লাভ ৮০০০ পর্যন্ত একনজ𒆙রে হিসেব
অর্গনাইজারে আরএসএস সদস্য রতন শারদার প্রতিবেদনে লেখা হয়, 'অকারণে রাজনৈতিক অঙ্ক কষতে গিয়ে দল ভাঙানোর খেলা যে বিজেপির জন্যেই ক্ষতিকারক হয়েছে, তার অন্যতম উদাহরণ মহারাষ্ট্র। বিজেপি এবং বিভক্ত শিবসেনার জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এনসিপি-তে ভাঙন ধরিয়ে অজিত পাওয়ারকে নিয়ে আসে বিজেপি। এতে বিজেপি ভোটাররা দুঃখ পেয়েছেন। কারণ তারা চিরকাল কংগ্রেসি ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়ে এসেছেন। এই এক কাজেই বিজেপি নিজেদের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমিয়ে দিয়েছে।' এই আবহে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের আগে নাগপুরের এই 'পরামর্শ' বিজেপি শুনবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। (আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখায় ১২ কামরার লোকাল চালাতে কাজ জাౠরি, দমদমে শেষের পথে 'তৃতীয় ধাপ')
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যাবেন? টিকিট 𒀰কাটার ক্ষেত্রে মিলবে বড় সুবিধা, ঘোষণা রেলের
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে বিরোধী মহাবিকাশ অঘাড়ি জোটের ঝুলিতে গিয়েছিল ৩০টি আসন। এদিকে এনডিএ-র ঝুলিতে এসেছে মাত্র ১৭টি আসন। আর একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। তিনি আবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এনডিএ-র মধ্যে বিজেপির ৯টি আসন ছাড়া একনাথ শিন্ডের শিবসেনা পেয়েছিল ৭টি আসন। আর অজিত পাওয়ার এনসিপি মাত্র ১টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এই আবহে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে, আসন্ন বিধানসভা ভোটে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে জোট বেঁধে দল লড়বে কি না। (আরও পড়ুন: 'দোষীদের বিরꦐুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে', NEET বিতর্ক নিয়ে বললেন শিক্ষামন্ত্রী)
আরও পড়ুন: ডিএ বাড়িয়ে 'পুরস্কার', তাও সরকারি কর্মীদ𓃲ের ওপর বিশ্বাস নেই মমতার, কী করল নবান্ন
আরও পড়ুন: কী ঘটেছিল ১৬ মে? ডিএ আন্দো💖লনকারী ভাস্করের বিরুদ্ধে কেন🍸 উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ
অঙ্ক কষে দেখা গিয়েছে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে যে ৪০ জন বিধায়ক আছেন, লোকসভা ভোটের নিরিখে꧋ তাঁদের অধিকাংশের আসনেই এনডিএ পিছিয়ে। এদিকে বিগত বহু দশক ধরে এনসিপির বিরোধিতা করে এসেছে বিজেপি। শিবসেনার সাথে যেমন বিজেপির নীতিগত মিল রয়েছে, এনসিপির সঙ্গে তেমনটা নেই। এই আবহে এনসিপি-বিজেপি জোট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিকে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র কেশব উপাধ্যায় অর্গনাইজারের প♕্রতিবেদন নিয়ে বলেন, 'অর্গনাইজার স্বতন্ত্র ম্যাগাজিন। আমরা নিজেই পর্যালোচনা করছি। আমরা আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে থাকি। এর জন্যে আজ আমরা এত বড় দল।' এদিকে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দাবি করেছেন, এনসিপির সঙ্গে জোট অব্যাহত থাকবে। এদিকে শিবসেনার মুখপাত্র কৃষ্ণ হেগড়ে অর্গনাইজারের প্রতিবেদন নিয়ে বলেন, 'রতন শারদা আরএসএসএর বড় নেতা। আমরা তাঁকে সম্মান করি। তবে এই ক্ষেত্রে তাঁর পর্যআলোচানার বিরোধিতা করি আমরা। অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের একজন বড় নেতা।'