ক্ষমতায় আসার ১৮ মাসের মধ্যে চতুর্থবার আস্থা ভোট। আর সেই আস্থা ভোটেও জয়ী হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচণ্ড’। সোমবার নেপালের সংসদে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে জিতে দেশের জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী সেন্টার) হল হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের তৃতীয় বৃহত্তম দল। এই দলের নেতা প্রচন্ড ১৫৭টি ভোট পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, আস্থা ভোটে জয়ী হতে সরকারকে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। তবে তার থেকে বেশি ভো🌊ট পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জয়ী হয়ে যান প্রধানমন্ত্💞রী।
আরও পড়ুন: নেপꦜালের প্রধানমন্ত্রী হ🎀চ্ছেন মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড, মাথাব্যথা বাড়বে ভারতের?
প্রসঙ্গত, পুষ্প কমল দহল আগে মাওবাদী নেতা ছিলেন। গত মার্চ মাসে উদার কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টিসহ বেশ কয়েকটি ছোট দলের সমর্থনে একটি জোট মন্ত্রিসভা গঠন করেন। তবে তাতে দলের নেতাদের মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন জোটে ভাঙন দেখা দেয়। গত সপ্তাহে জনতা সমাজবাদী পার্টি সমর্থন প্রত্𓃲যাহার করে নেয়। ফলে আস্থা ভোটের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
এদিন ভোটদান থেকে বিরত থাকে প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস। তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা দায়িত্বে থাকা উপ-প্রধানমন্ত্রী রবি লামিছনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে একাধিক♔ সমবায় তহবিল থেকে অর্থ তছরুপের অভিযোগ তোলে। পরে সংসদের স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে ঘোষণা꧅ করেন যে প্রচণ্ড সংসদের আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন। সংসদের ২৭৫ জন সদস্যের মধ্যে এদিন ১৫৮ জন ভোটে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড ২০২২ সালের 𝔉ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ছিল চতুর্থবার আস্থা ভোট। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ক্ষমতায় থাকা সরকারের জো🌼ট সঙ্গী সমর্থন প্রত্যাহার করলে প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোট পেতে হবে।
এর আগে ১৩ মার্চ মাসে নেপালি কংগ্রেস ছেড়ে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনিফায়েড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-এর স🍌ঙ্গে নতুন জোট গ🎉ঠনের কয়েকদিন পরে প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড তৃতীয় আস্থা ভোটে জিতেছিলেন।
তারও আগে গত বছর, দাহাল 🎃একইভাবে আস্থা ভোটের সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থীকে সমর্থন করার বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে প্রচণ্ড নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে সম🔜র্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।