কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া অনেকটাই এগিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের নিজস্ব রাজনৈতিক ডামাডোল পরিস্থিতির জেরে সেই বোঝাপড়া পরবর্তী সময়ে আর ফলপ্রসূ হয়নি। সম্প্রতি জর্জ টাউন ইউনিভার্সিটির একটি পেপারে একথা উল্লেখ করা হয়েছে। জওহরলাল ইউনিভার্সিটির অ্য়াসোসিয়েট প্রফেসর হ্যাপিমন জ্যাকব ভারতীয় ও পাকিস্তানি আধিকারিক যাঁরা এই বোঝাপড়ার বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সঙ্𓃲গে কথাবার্তা বলে একথা উল্লেখ করেছেন বলে ඣদাবি করা হচ্ছে। মার্চ ২০০৭ সালে এই বোঝাপড়া করার চেষ্টা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক পারভেজ মোশারফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজেপেয়ীর আমলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
২০০৫-০৮ সাল নাগাদ কর্মরত তৎকালীন পাকিস্তানের বিদেশ সচিব রিজায় মহম্মদ খান জানিয়েছেন, ভারতের তরফ থেকে ২০০৭ এর মার্চ মাস নাগাদ শেষ খসড়া দেওয়া হয়েছিল। যদি এই বোঝাপড়া মাঝপথেই থেমে না যেত তবে এই খসড়াই সম্ভবত শেষ পদক্ষেপ হত। কিন্তু মোশারফ সরকারের আমলে আচমকা ডামাডোল শুরুꦬ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের তরফে আর এই খসড়ায় নিজস্ব মতামত পেশ করে ফেরৎ দেওয়ার সুযোগ পায়নি।
‘The Kashmir Back Channel: India Pakistan Negotiations on Kashmir from 2004-2007’নামক এই পেপারে উল্লেখ করা হয়েছে মূলত ফোর পয়েন্ট ফর্মুলার ভিত্তিতে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করার কথা খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছিল। কাশ্মীরে মনোমহন সিংয়ের বিশেষ দূত হিসাবে তৎক🔯ালীন সময়ে কর্মরত সাতিন্তর লাম্বা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত চুক্তিতে চারটি পয়েন্টের ফর্মুলা ছিল। নতুন করে সীমানা আঁকার কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রেখার দুদিকে যাতায়াত করতে পারতেন কাশ্মীরের লোকজন, স্বশাসনের ব্যবস্থা দেওয়া হত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুদিকে। পাশাপাশি এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথাও বলা হয়েছিল। তবে প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এমকে নারায়ণনের দাবি, এটা একটা রুটিন আলোচনাপত্র ছিল। কূটনৈতিক বোঝাপড়ায় চূড়ান্ত ডিল করার আগে এটা হয়ে থাকে।