বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল꧃ আজিম আনার হত্যা মামলায় একের পর এক তথ্য় সামনে আসতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীদের মতে, গত মাসে খুন করা হয়েছিল বাংলাদেশের সাংসদকে। কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে প্রবেশের পরেই বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তাকে।
ধৃত মহম্﷽মদ সিয়াম হুসেন পুলিশকে জানিয়েছে, আনারকে খুন করার পর অভিযুক্তরা তার দেহ কেটে কয়েকটি ছোট ছোট টুকরো করে প্লাস্টি🐼কের ব্যাগে ভরে নিউ টাউন এলাকা ও বাগজলা খালের বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়ে বিভিন্ন গোপন আস্তানায় পালিয়ে যায়।
অভিযুক্তদের আরও দাবি, সাংসদের দেহের কিছু অংশ ট্রলি স্যুট🤡কেসে ঢুকি♕য়ে বাংলাদেশ সংলগ্ন বনগাঁ সীমান্তের কাছে ফেলে দেওয়া হয়।
নেপালে ধৃত হুসেন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে সেখানে এক মহিলা ছিলেন যিনไি অন্য অভিযুক্তদের শ্বাসরোধ করে খুন করতে সহায়তা করেছিল। এক নারী এই খুনের ঘটনার পেছনে ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই নারী মামলার প্রধান আসামি মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামানের বান🍌্ধবী।
গত ১৮ মে উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর থেকে নিখোঁজ হন ওই বাংলাদেশি সাংসদ। ২২ মে ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তারা তাক🅘ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরপর ঢাকা পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি তদন্ত শুর💦ু করে এবং ঢাকায় থাকা তিনজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
গত ৯ জুন এক অভিযুক্ত সিআইডিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি খাল🌟ের পাড়ে নিয়ে যায়, সেখান থেকে তারা এক 'পুরুষ মানুষের' হাড়গোড় উদ্ধার করে। দু'দিন পর জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার ওই অ্যাপার্টমেন্টের সেপটিক ট্যাঙ্ꦆক থেকে কয়েক কিলো মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক রিপোর্টে নিশ্চি꧃ত হওয়া গিয়েছে, ওই মাংস কোনও মানুষের। আমরা এখন ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হব যে এটি বাংলাদেশের এমপির কি না। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে,' বলেন সিআইডির এক কর্মকর্তা।
এদি🔴কে প্রাথমিকꦕ তদন্তে জানা গেছে, সাংসদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আক্তারুজ্জামান এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, আখতারুজ্জামানের কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট থাকলেও বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করবেন।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের এই সাংসদ খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য দানা বেঁধেছে। একের পর এক অভিযুক✅্তকে গ🍸্রেফতারও করা হয়েছে এই ঘটনায়।
(পিটিআই থেকে ইনপুট সহ)