প্রয়াগরাজ গণহত্যা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁচা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ মিশ্র নাকি শুক্রবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বলেন, ‘ও কলকাতা, ওখানে তো হিংসা হয়।’ তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন অবশ্য এর জবাবও দেন। বলেন, ‘এমন কথা আপনার মুখে মানায় না।’ দোলা সেনের বক্তব্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধানের বক্তব্য নিরপেক্ষ নয়। মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে এহেন মন্তব্য যে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের ভালো লাগেনি তাও স্পষ্ট করে দেন দোলা সেন। (আরও পড়ুন: ‘মহিলাদের উপরে কেন বিজেপি অত্যাচার করবে?’, ছাত্রীর প্রশ্নে অস্বস্তিতে🌺 বিপ✱্লব)
এদিকে জানা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির ‘কলকাতায় হিংসা’ মন্তব্যের জেরে আক্রমণাত্মক সুরে বিরোধ জানান তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে। তিনি নাকি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন, ‘ত্রিপুরা থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যের হিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কোনও সময়েই পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।’ এই বক্তব্যে নাকি অসন্তুষ্ট হন অরুণ মিশ্র। সাকেত🍸ের বিষয়ে ‘খবর নেওয়ার’ জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ফোন করতে নির্দেশ দেন নিজের সচিবকে।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচজনকে খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রয়াগরাজ জেলার কেবরাজপুর গ্রামে একই পরিবারের মহিলা, শিশুসহ পাঁচ সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তৃণমূলের দাবি, পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে কথা বলে তারা🙈 জানতে পারে যে তাঁর স্ত্রী ও বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির নামে অভিযোগ নিতে চাইছে না পুলিশ। এই আবহে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।