২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ৬ দুষ্কৃতীর লালসার ♔শিকার হন ২৩ বছরের প্যারামেডিক ছাত্রী। শুধু তাই নয়, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তরুণীর শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উপড়ে ফেলা হয়। নিগ্রহের শিকার হন তাঁর সঙ্গী যুবকও।
ঘটনায় জড়িত চার জনকে শুক্রবার ভোর ৫.৩০ মিনিটে তিহাড় জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তারা অধিকাংশই ছিল স্কুলছুট। দক্ষিণ দিল্লির আর কে পুরম এলাকার বস্তির বাসিন্দা ছিল ছয় অভিযুক্ত👍। দেখে নেওয়া যাক তাদের পরিচি﷽তি সম্পর্কে কিছু তথ্য।
মুকেশ সিং (৩৩): বাসের ক্লিনার মুকেশ সেই রাতে তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে লোহার🌠 রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়। বন্দি অবস্থায় জেলে বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে জানিয়েছিল, রাতে রাস্তায় বেরিয়ে হেনস্থার শিকার হলে মহিলারাই ওই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
অক্ষয় ঠাকুর (৩৩): আদতে বিহারের অওরঙ্গাবাদের বাসিন্দা অক্ষয়ও স্কুলছুট। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে কনিষ্ঠতম। তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে রয়েছে। খুনির স্ত্রী পরিচয়ে বাঁচতে না চেয়ে সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন তꦯার স্ত্রী।
বিনয় শর্মা (২৭): পেশায় জিম প্রশিক্ষক তরুণীকে গণধর্ষণের রাতে বাস চালাচ্ছিল। পরে মুকেশের হাতে স্টিয়ারিং ছেড়ে দিয়ে সে-ও ধর্ষণে অংশগ𝓡্রহণ করে। অভিযুক্তদের মধ্যে একমাত্র 🙈সে-ই স্কুলের পাঠ শেষ করেছিল। অল্পস্বল্প ইংরেজিও সে বলতে পারত।
পবন গুপ্তা (২৫): ফল বিক্রেতা পবন গণধর্ষণ ও নিগ্রহে অংশগ্রহণ করেছিল। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় সে স্নাতক কোর্🔥সে পড়াশোনা করে।
রাম সিং (৩৩): মুকেশের দাদা রাম সিং সেই বাসের মূল চালক ছিল। তার বিরুদ্ধে আইন ভাঙার পুরনো রেকর্ড ছিল। তরুণীকে ধর্ষণ🔯ের পরে লোহার রড নিয়ে সে আক্রমণ করে, যার জেরে তাঁর অন্ত্র শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।
ঘটনার পরের দিন, ১৭🙈 ডিসেম্বর প্রথমে তাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে সেই বাসের ভিতরেই পাওয়া যায়। বাসের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় রাম সিংয়ের রক্তাক্ত পোশাকও। ২০১৩ সালে তিহাড় জেলে নিজের সেলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নাবালক: দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয় এক নাবালকও। তার বিচার হয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের অধীনে। বিচারে তাকে তিন বছর সংস্কারমূলক হোমে রাখার নির্দেশ দেয় বোর্ড। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সাজার মেয়াদ শেষ হলে সে ছাড়া পায়। ম🗹ুক্তি পাওয়ার পরে প্রথমে দক্ষিণ ভারতে পথের ধারে এক দোকানে রাঁধুনি হিসেবে সে কাজ পায়। তারপর এক নামী হোটেলে পাচক হিসেবে সে বহাল হয়। জানা গিয়েছিল, ১১ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে ২৪০ কিমি দূরে দিল্লিতে এসে সে থাকতে শু❀রু করে। পরিবারে তার শয্যাশায়ী বাবা, অসুস্থ মা, এক দিদি এবং একাধিক ছোট ভাই-বোন রয়েছে। ওই পরিবার এখনও পুরনো সেই গ্রামেই বসবাস করে।