পূর্ব লাদাখের চার❀টি সংঘ♒াত অবস্থান থেকে কমপক্ষে ৬০০ মিটার সরে গিয়েছে ভারত ও চিনের সেনা। হিন্দুস্তান টাইমস-কে এমনই জানাল ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্র।
জানা গিয়েছে, ১,৫৯৭ কিমি দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর অন্যান্য অবস্থান থেকেও পিছু হঠেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এর আগে শোনা গিয়েছিল, পূর্ব অবস্থান থেকে দেড় কিমি পিছিয়ে গিয়েছে পিএলএ। ভারতীয় সেনা আধিকারিকদের মতে, এর মানে দুই পক্ষের মধ্যে ক⛦োনও বাফার জোনের অস্তিত্ব রইল না। এক শীর্ষ স্থানীয় সেনা কম্যান্ডার বলেন, ‘যা হয়েছে তা হল, দুই পক্ষই পিছিয়ে এসেছে যাতে কোনও দুর্ঘটনা বা হঠা🦩ৎ উত্তেজনার সম্ভাবনা তৈরি না হয়।’
এই প্রেক্ষিতেই শনিবার বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মনিয়াম জয়শংকর জানিয়েছেন, পারস্পরিক বোঝাপড়া মেনে চিনের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার কাজ চলেছে। শুক্রবারই ভারত ও চিন জানিয়েছিল, গালওয়ান𝔍 উপত্যকার দখল নিয়ে মতান্তরের মাঝেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার পদ্ধতি কার্যকর এবং উত্তেজনা প্রশমিত করার বিষয়ে চলেছে।
সেনার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছিল যে, গালওয়ানে ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনও পক্ষেরই সেনা উপস্থিতি নেই। যদিও গোগরায় পেꦍট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ এবং হট স্প্রিংসয়ে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭-তে দুই পক্ষেরই কিছু সেনা উপস্থিতি রয়ে গিয়েছে। ভারত চায়, গত ২০ এপ্রিল যে অবস্থানে ছিল, সেখানেই ফিরে যাক পিএলএ।
প্যাংগং সরোবরের কাছে ফিংগার ৪ থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চিন কিন্তু এখনও ফিংগার ২ পর্যন্ত দখল চায় পিএলএ। ফিংগার ৪ থেকে ফিংগার ৮ পর্যন্ত এলাকায় তারা পরিকাঠামো গড়ে ❀তুলেছে। ফিংগার ২ ও ৩ এর মধ্যে ভারতীয় সেনার ছাউনি রয়েছে। এ ছাড়া দেপস্যাং প্লেনস-এও যথেষ্ট কাছাকাছি অবস্থান রয়েছে দুই দেশের সেনার।
ভারত এবং চিনের সামরিক ও কূটনৈতিক সূত্র বলছে, গালওয়ান, গোগরা, হট স𝄹্প্রিংস এবং প্যাংগং সো- এই চার সংঘর্ষ অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ নামাতে সাময়িক ভাবে সেনা টহলদারি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে প্যাংগং সো-এর ফিংগার ৮ এবং ২০১৩ সালে দেপস্যাং বালজ-এ সংঘর্ষের পরে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুই দেশ।
পূর্বল্লেখিত ভারত🍰ীয় সেনা কম্যান্ডার জানিয়েছেন, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি স্বচ্ছ রাখার উদ্দেশে দিনের আলোতেই সামরিক পরিকাঠামো খোলা এবং সাঁজোয়া গাড়ির সারি পিছানোর মতো পদক্ষেপ করছে পিএলএ। চিন চায়, সংঘাতের বাতাবরণ এড়াতে ভারতও অনুরূপ পদক্ষেপ করুক।
আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তা𓃲হ নাগাদ ফের বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিনের সেনা কম্যান্ডাররা। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়্যাং ইয়ির মধ💜্যে বৈঠকের আগে দুই তরফের সম্পর্কে জমা বরফ গলানো জরুরি।