একটা সময় দূরপাল্লার ট্রেনে সিনিয়র সিটিজেন ও স্পোর্টস সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা ছিল। যার জেরে তাঁদের টিকি🅷ট কিছুটা সস্তা হত। সবথেকে সুবিধা হত সিনিয়র সিটিজেনদের। ২০২০ সালের মার্চ মাসের আগে এই ব্যবস্থা চালু ছিল। তবে তারপর এই ছাড় তুলে দেওয়া হয়। এদিকে সেই ছাড়ের বিষয়টি ফের ফিরিয়ে আনা হবে কি না তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। এমনকী বিভিন্ন মহল থেকে এনিয়ে দাবিও তোলা হয়েছে অতীতে। তবে এবার রাজ্যসভায়🅰 এক প্রশ্নের উত্তরে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যসভার এমপি ( শিবসেনা ইউবিটি) প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এনিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন।
তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ১) ২০২০ সালের মার্চ মাসের আগে সিনিয়র সিটিজেন ও স্পোর্টস সিটিজেনদের জন্য যে ছাড় ছিল ꧂স𒆙েটা কি এখনও আছে?
২) যদি সেটা হয়ে থাকে তবে কবে থেকে সেটা চালু হল সেই তারিখটা জানাতে হ🐓ব🐼ে।
৩) যদি না থাকে তবে সেটা আগামী দিনে হবে𒉰 কি না সেটা জানাতে হবে।
৪) যদি সেটা হয়ে থাকে তবে চূড﷽়ান্ত সিদ্ধান্ত কী সেটা জানাতে হবে।
৫) কেন তাদের এই সিদ্ধান্ত সেটাও জানাতে হবে।
সেই প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়ে দিয়েছেন, রেলমন্ত্রক সকলের সাধ্যের মধ্য়ে যাতে পরিষেবা পাওয়া যায় সেজন্য সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গেই রেল ৫৬,৯৯৩ কোটি ভর্তুকি দিౠয়েছে যাত্রীদের টিকিটে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এই ভর্তুকি দেওয়া ꦑহয়েছে। এই পরিমাণ ছাড়ের অর্থ হল গড়ে প্রায় ৪৬ শতাংশ সমস্ত যাত্রীদের টিকিটে ছাড় দেওয়া হয়। এই ছাড় সমস্ত যাত্রীদের ক্ষেত্রে লাগু করা রয়েছে। তবে এই ভর্তুকি ছাড়াও একাধিক ক্যাটাগরিতে ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম এমন চার ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে, ১১ ধরনের রোগী, ৮ ধরনের পড়ুয়ার ক্ষেত্রে এই ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
তাহলে মোদ্দা কথা হল প্রবীণদের🐼 জন্য রেলের টিকিটে আগে যে ছাড় ছিল সেটা আ🍌র থাকছে না। সেটা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই সাধারণ যাত্রীদের তরফে প্রশ্ন উঠছে আগে রেলদফতর ছাড় দিতে পারত। আর এখন সেটা কেন দিতে পারছে না। আগেও তো ভর্তুকি দিত সকলকেই। তার উপর প্রবীণদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা ছিল। সেটা কেন বন্ধ করা হল?
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লিখেছেন, চলিয়ে বাজাও তালি!