মাঝ সমুদ্রে ভেঙে পড়ল উত্তর কোরিয়ায় সামরিক গুপ্তচর স্যাটেলাইট। আর এর জেরে স্বভাবতই লজ্জায় কান লাল হয়েছে রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের। এদিকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বিফল হওয়ার পরই উত্তর কোরিয়ার প্রধান ঘোষণা করেন, শীঘ্রই দ্বিতীয়বার এই ধরনের স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে তাঁর দেশ। কোরিয়া সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া 'চলিমা-১' নামক একটি রকেট উৎক্ষে💝পণ করে বুধবার সকাল ৬টা ২৭ মিনিট নাগাদ। উত্তর করোয়িার পশ্চিম উপকূল🦂 থেকে সেই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। তাতে ছিল 'মিলিগিয়ং-১' নামক একটি গুপ্তচর স্যাটেলাইট।
উল্লেখ্য⛄, বিভিন্ন সময়ে রকেট লঞ্চের মাধ্যমে আমেরিকা সহ✤ মিত্র রাষ্ট্রগুলিকে পরোক্ষে বার্তা দিয়ে থাকেন কিম। এই রকেট লঞ্চের মাধ্যমে নিজেদের পেশিশক্তিও প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। এই আবহে রকেটের উৎক্ষেপণ বিফল হওয়ায় অস্বস্তিতে কিম। জানা গিয়েছে, রকেটটি ঠিকঠাক ভাবেই মাটি ছেড়ে শূন্যে উড়ে গিয়েছিল। এরপর রকেট লঞ্চের দ্বিতীয় পর্বে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল। সেই সময় ইঞ্জিনের থ্রাস্ট কমে যায়। প্রথম স্টেজের ইঞ্জিন রকেট থেকে আলাদা হওয়ার পরই এই গোলমাল শুরু হয়। রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ে যে ইঞ্জিন লাগানো ছিল, তা নতুন ধরনের বলে জানা গিয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় ধাপের ইঞ্জিন কাজ না করায় সমুদ্রে ভেঙএ পড়ে রকেটটি। সঙ্গে সঙ্গে কিম জিং উনের স্বপ্নের গুপ্তচর স্যাটেলাইটটিরও পতন ঘটে। এদিকে এই রকেট লঞ্চ সফল না হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে। জবাবে কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং আমেরিকাকে পালটা তোপ দাগেন। তিনি অভিযোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি গ্যাংস্টার মানসিকতার। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, উত্তর কোরিয়া শীঘ্রই সফল ভাবে এই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে।
এদিকে কেন এবং কীভাবে এই উৎক্ষেপণ বিফল হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এই উৎক্ষেপণের ভুল ও গাফিলতি থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী রকেট লঞ্চের প্রস্তুতি করা হবে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকার। এই রকেট লঞ্চের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অংশের পুনরায় পরীক্ষা চালানো হবে। এরপরই ফের 'মিলিগিয়ং-১' গুপ্তচল স্যাটেলাইটকে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে উত্তর কোরিয়া। এদিকে উত্তর🌠 কোরিয়ার এই রকেট উৎক্ষেপণের জেরে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এদিকে জাপানের উপকূলরক্💝ষী বাহিনীকে নাকি উত্তর কোরিয়ার তরফে রকেটের ভেঙে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কোথায় কোথায় এই রকেট ভেঙে পড়তে পারে, তার সম্ভাব্য তালিকা দেওয়া হয়েছিল জাপানকে।