দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির জয়ে যার পর নাই খুশি বিরোধীরা। সিপিএম হোক বা তৃণমূল, বিরোধীপক্ষের যুযুধান সব দলই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এর মধ্যে বহু দল রয়েছে যাদের কোনও অস্তিত্বই নেই দিল্লিতে। শুধুমাত্র নিজেদের রাজ্যে বিজেপি বিরোধিতার জিগির তুলতে কেজরির সাফল্য উজ্জাপনে নেমেছেন তারা। বাদ যায়নি সিপিএমও। দিল্লি নির্বাচনে তাদের শোচনীয় পরাজয় হলেও আপের সাফল্যে খুশি তারাও। দিল্লিতে বামেদের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে তাদের থেকে ১৫ গুন বেশি ভোট পেয়েছে NOTA. তবু উত্সাহে ভাটা নেই তাদের।দেশের বামপন্থী আন্দোলন যে ক্রমশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দি হয়ে পড়ছে ফের তার প্রমাণ মিলল দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এত তাণ্ডবের কোনও ফসলই ঘরে তুলতে পারল না তারা। প্রার্থী দিয়ে শোচনীয় পরাজয় হল তাদের। দিল্লিতে জামানত জব্দ হয়েছে সিপিআই ও সিপিএমের সমস্ত প্রার্থীর।নির্বাচন কমিশনের খতিয়ান বলছে, দিল্লিতে সিপিএম পেয়েছে ০.০১ শতাংশ ভোট। আর সিপিআই পেয়েছে ০.০২ শতাংশ ভোট। অর্থাত্ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের মোট প্রাপ্ত ভোট ০.০৩ শতাংশ। পাশাপাশি দিল্লিতে NOTA-য় পড়েছে ০.৪৬ শতাংশ ভোট। অর্থাত্ দিল্লিতে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের থেকে নোটায় পড়া ভোটের পরিমান ১৫.৩৩ গুন। সিপিএম ও সিপিআই-এর মোট প্রাপ্ত ভোটের ১৫ গুনেরও বেশি ভোট পেয়েছে NOTA.পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের নিরিখে দিল্লিতে সব থেকে নীচে CPIM. দ্বিমুখী নির্বাচনে আম আদমি পার্টি, BJP ও কংগ্রেস ছাড়া কেউ ১ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। দিল্লিতে আপ পেয়েছে ৫৩.৬৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৩৮.৪৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছে ৪.৩ শতাংশ ভোট। বিগত ভোটে করুণ পরাজয়ের স্মৃতি থেকে এবার দিল্লিতে ভোটেই লড়েনি তৃণমূল। আপকে সমর্থন দিয়েছে তারা।