মৃত্যুর পদধ্বনি হয়তো শুনেছিলেন ওডিশার তরুণ সেনা জওয়ান চন্দ্রকান্ত প্রধান। লাদাখে চিনা ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হওয়ার 🅰আগে ফোনে তে🍨মনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলে মনে করছেন বোন সন্ধ্যারানি।
গত ১ জুন ওডিশার কন্ধমল জেলায় বিয়ারপাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ফোন করেছিলেন বছর আঠাশের চন্দ্রকান্ত। কথা হয়েছিল বড়বোন সন্ধ্য🃏ারানির সঙ্গে। সেই সময় কথা বলতে বলতে আচমকা কাঁদতে থাকেন ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের জওয়ান চন্দ্রকান্ত। সেই সঙ্গে বড়বোনকে বাবা-মা, ছোটভাইয়ের খেয়াল রাখার কথা বার বা♑র বলেন। জীবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যা যা বিরূপ আচরণ করেছেন, তার জন্য ক্ষমা চান।
বরাবর হাসিখুশি মেজাজের দাদাকে এ ভাবে কাঁদতে শুনে বဣিষন্ন হয়ে ওঠে সন্ধ্যারানির মন। চন্দ্রকান্ত তাঁকে বলেন, যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
রবিবার টিভি চ্যানেলে লাদাখ সীমান্তে চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে তিন সেনা সদস্যের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে স্বস্তিতে ছ🍃িলেন না চন্দ্রকান্তের পরিবার। কিন্তু বেশ কয়েক বার ছেলের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও সাড়া পাননি চন্দ্রকান্তের বাবা পেশায় ভাগচাষি করুণাকর প্রধান। কয়েক ঘণ্টা পরে পাশের গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর ছুটে এসে হতভাগ্য পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যুর কথা জানান। এর পর চন্দ্রকান্তর বাহিনীপ্রধা𒆙ন ডি সি প্রধানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলে মর্মান্তিক খবর জানতে পারেন সন্ধ্যারানিরা।
পুত্রশোকে বিধ্বস্ত করুণাকর বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে ডাক পাওয়ার পরে বার বার অনুনয় করেছি না যেতে। কিন্তু সে কথা কানে তোলেনি চন্দ্র। দেশসেবা করার গোঁ চেপে বসেছিল ও⛦র। কয়েক দিন আগেই ফোনে জানিয়েছেল, তিন বার চপারে টহল দিয়ে এসেছে। বলেছিল🎉, ওদের ১৪ জনকে অভিযানের জন্য বাছা হয়েছে এবং সকলেই চপারে সফর করবেন। ওকে সাবধান হতে বলেছিলাম।’
সবকিছু তোড়জোড় শেষ হলেও দাদার মৃত্যুতে অনিশ্চয়তার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে সন্ধ্যারানির বিয়ে। দরিদ্র প্রান্তিক পরিবারের আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সকলের। তবু শোক সামলে করুণাকরণ বলে উঠছেন, ‘মাতৃভূমির♚ জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেছে ও। আমরা চন্দ্রর জন্য গর্বিত।’
১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের ওডিশাবাসী সৈনিক চন্দ্রকান্ত প্রধানের মৃ﷽ত্যুত🌞ে শোক জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা।