প্রধানমন্ত্রীর সꦍ্বচ্ছ্ব ভারত অভিযান যে শেষ পর্যন্ত এক গৃহহীনের সম্বল হয়ে উঠবে, সে কথা হয়ত খোদ নরেন্দ্র মোদীও কল্পনা করেননি। গত একবছরের উপর প্রকল্পে তৈরি এক শৌচাগারে আশ্রয় নিয়ꦜেছেন ওড়িশার এক প্রৌঢ়।
ওড়িশার ঝ🎉াড়সুগুদা জেলার লখনপুর ব্লকে পূজারীপল্লি গ্রামের বাসিন্দা যোগেন্দ্র নিখুন্তি পেশায় দিনমজুর। মদের নেশায় হামেশা চুর থাকেন বলে কয়েক বছর আগে যোগেন্দ্রকে ছেড়ে ছত্তিশগড়ে চলে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা। তাই কাঁচা বাড়িতে একাই বাস করতেন বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়।
২০১৯ সালের বর্ষায় অতিবৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে যোগেন্দ্র কুঁড়েঘর। তার পরই তিনি গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ্ব ভারত অভিযানে তৈরি নতুন শৌচাগারে আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, ‘আ꧅মার আর কোনও থাকার জায়গা নেই। ছোট্ট শৌচাগারটি বসবাসের পক্ষে সুবিধার না হলেও কোনও রকমে সেখানে রাতে ঘুমোতে পারি।’
তাঁর দাবি, বাড়ি ভেঙে পড়ꦓার পরে ভিখামপলি গ্রাম পঞ🦩্চাতের প্রধানকে তাঁর সংস্যার কথা জানালে সাহায্যের আশ্বাস পান। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই করা হয়নি।
শুধু তাই নয়, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে (এনএফএসএ) প্রাপ্য খাদ্যশস্যও গত কয়েক মাস পাচ্ছেন না বলে অ🔯ভিযোগ করেছেন যোগেন্দ্র।
এ দিকে গ্রাম প্রধান কৃষ্ণা কালো জানিয়েছেন, আধার কার্ডের সঙ্গে এনএফএসএ কার্ডের লিঙ্ক না করানোর ফলে প্রাপ্য খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন না দরিদ্র মজুর। এমনকী, যোগেন্দ্রর আ♏দৌ আধার কার্ড আছে কি না, সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গ্রাম প্রধান।
অন্য দিকে, ঝাড়সুগুদার জেলাশাসক সরোজ সামাল জানি🌺য়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যোগেন্দ্রর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেই তাঁর বাসস্থানের সমস্যা মিটবে বলে জেলাশাসক জানান। ততদিন পর্যন্ত তাঁকে কোনও বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সামাল।