দেবব্রত মোহান্তি
এবার অসমের পথেꦆ হাঁটতে পারে ওড়িশা। অসমের পাবলিক প্লেসে গোমাংস বিক্রি ও খাওয়া বন্ধ করেছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। এবার ওড়িশা সরকার পরিকল্পনা নিচ্ছে গো হত্যা বন্ধে একই রকম কড়া আইন আনার।
ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বিরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, সরকার গবাদি পশুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে একাধিক পদক্ষেপ নিক। তিনি বলেন, গো হত্যা নিয়ে সরকারে দৃ🎀ষ্টিভঙ্গি খুব পরিস্কার। আমরা এনিয়ে আইন আনতে চলেছি। এই সেশনে প্রাইভেট বিল꧅ও আসতে পারে। তার মধ্য়ে একটা এই গো হত্যা বন্ধের বিরুদ্ধে।
ওড়িশার প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী গোকুলানন্দ মল্লিক বলেন, আমরা যদি এমন কোনও ঘটনার কথা জানতে পারি( গো মাংস সংক্রান্ত) তব♍ে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নেব।
এদিকে ওড়িশা প্রিভে🐲নশন অফ কাউ স্লটার অ্যাক্ট ১৯৬০ অনুসারে ওড়🐈িশায় গো হত্যা নিষিদ্ধ। এতে ২ বছর কারাবাস বা ১০০০ জরিমানা বা দুটোই হতে পারে। তবে বলদ কাটা যায়। সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট নিতে হয়। ১৪ বছরের বেশি বয়সি হলে বা অন্য কারণে এই ছাড়পত্র মেলে।
বছর তিনেক আগে বিজেপি এমপি প্রতাপ চন্দ্র ষড়ঙ্গি তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে অনুরোধ করেছিলেন গো হত্যা রোধে যে আইন 🔴আছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করুন।
রাজ্য পুলিশের দাবি, গত চার বছরে অ🐭ন্তত ২০০টি গরু পাচার ও গো মাংস পাচারের ꦬঘটনার কথা জানা গিয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র দফতরের সূত্র বলছে ওড়িশায় একাধিক সাম্প্রদায়িক হিংসার একাধিক ঘটনা হয়েছে এই গো মাংসকে কেন্দ্র করে। গত চার বছরে অন্তত ২৩০টি এই ধরনের হিংসা ঘটনা হয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত সেই গো মাংস।
অসমে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার ঘোষণা করেছেন যে তাঁর সরকার রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং পাবলিক প্লেসে গরুর মাংস পরিবেশন এবং খাওয়া নিষিদ্ধ🍒 করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ⛎্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে এনিয়ে ঘোষণা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, 'আমরা রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং পাবলিক প্লেসে গরুর মাংস পরিবেশন ও খাওয়া নিষি🧸দ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
' অসমে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কোনও রেস্তোঁরা বা হোটেলে গরুর মাংস পরিবেশন করা যাবে না এবং এটি কোনও পাবলিক ফাংশন বা পাবলিক প্লেসে পরিবেশন করা হবে না। তাই আজ থেকে আমরা হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং পাবলিক প্লেসে গরুর মাংস খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে আমরা মন্দিরের কাছে গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তবে এখন আমরা এটি পুরো রাজ্যে প্রসারিত করেছি 🎃যে আপনি কোনও সম্প্রদায়ের জায়গা, পাবলিক প্লেস, হোটেল বা রেস্তোঁরায় এটি খেতে পারবেন না। জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।🧸