দেবব্রত মোহন্তিওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ নতুন এক মোড় নিল মঙ্গলবার। এদিন এক বিস্ফোরণ মন্তব্য করেন ওডিশার রাজস্বমন্ত্রী সুদাম মারণ্ডি। তাঁর কথায়, ‘ওডিশা প্রতিবেশী রাজ্যকে এক ইঞ্চিও জমি দেবে না।’ওডিশার কোরাপুট জেলার বিভিন্ন গ্রামে জমি জরিপের কাজ শুরু করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ওই রাজ্যের বাসিন্দারা। এই ধরণের খবরের মাঝেই মন্ত্রী সুদাম মারণ্ডি বলেন, ‘এ জাতীয় সমস্যা সাধারণত সীমান্ত অঞ্চলে দেখা দেয়। তবে, ওডিশা সরকার সব সময় সতর্ক রয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘অন্ধ্রকে এক ইঞ্চি জমি দেওয়ারও প্রশ্ন আসে না। আমরা ইতিমধ্যে যে কোনও ধরণের দখলদারি বন্ধ করতে আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি।’কোরাপুটের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার–পাঁচ দিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশের সীমান্তবর্তী পোটাঙ্গি ব্লকের সুনাবেদা গ্রামে সংযোগকারী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান অন্ধ্রপ্রদেশের চারটি গ্রামের মানুষ। ওডিশার সীমান্তবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশের লোকজন সম্প্রতি ওডিশা সরকারের লাগানো একটি তথ্য সম্বলিত বোর্ড ভেঙে দেন। যদিও পরে বোর্ডটি সরিয়ে যথাস্থানে লাগিয়ে দেয় কোরাপুট জেলা প্রশাসন। এর পরই কোরাপুটে পোটাঙ্গি ব্লকের সুনাবেদা গ্রামে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওডিশার সীমান্তবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দারা।কোরাপুট জেলার কালেক্টর মধুসূদন মিশ্র বলেন, ‘সীমানা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তা দ্বিপাক্ষিক সমীক্ষা বা জমি পরিমাপের মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সেটাই গ্রহণযোগ্য এবং বৈধ। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের কর্মকর্তারা যেভাবে একতরফাভাবে তাদের নিজস্ব জরিপ পরিচালনা করছেন তা একেবারে অবৈধ।’কোরাপুট, মালকানগিরি, রায়গাদা, গজপতি এবং গঞ্জাম— ওডিশার এই পাঁচ জেলার সঙ্গে সীমানা নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্ঘে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ বছরের জুন মাসে লকডাউন চলাকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের এক বিধায়ক কোরাপুটের একটি গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং পাশাপাশি গ্রামবাসীদের মধ্যে চাল–সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসও বিতরণ করেছিলেন। আর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্ধ্রপ্রদেশের কর্মকর্তারা কোরাপুটের পোটাঙ্গি ব্লকের কোটিয়া পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে ১৯টি পরিবারকে বনভূমির অধিকার প্রদান করেন।