ওড়িশার সুন্দরগড়ে দুই যাযাবর গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন মহিলা সহ ৫ জনের। মঙ্গলবার রাতে ওড়িশার সুন্দরগড়ে দুই যাযাবর গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘাত শুরু হয়। তার জেরেই নিমেষে ৫ জন🔯ের মৃত্যু হয়েছে। ৪ জন তাতে আহত হয়েছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই সংঘাতের নেপথ্যে রয়েছে কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ঘটনা।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত দুই যাযাবর গোষ্ঠীর মধ্যে এক পুরুষ ও বিবাহিত মহিলাকে ঘিরে। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার এক যাযাবর গোষ্ঠী ওড়িশার করমদিহিতে বসবাস করছিল। তারা সেখানে গত কয়েক মাস ধরেই বসবাস করছিল। সেখানের গ্রামে নিজেদের টেন্ট খাটিয়ে বসবাস শুরু করেছিল। পুলিশ বলছে, গোটা ঘটনার সূত্রপাত অবিনাশ পাওয়ার༺কে ঘিরে। যিনি ওই মহারাষ্ট্র থেকে আসা যাযাবর গোষ্ঠীর সদস্য। তিনি সেখানে নিজের স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। এক মাস আগে পাওয়ারের স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ও পালিয়ে যান প্রেমিকের সঙ্গে𒁃। এরপর আরও একটি যাযাবর গোষ্ঠী থেকে এক মহিলাকে নিয়ে এসে বসবাস করছিলেন পাওয়ার। আরও এক যাযাবর গোষ্ঠীর সদস্যরা পাওয়ারদের গোষ্ঠীর ওপর এরপর চড়াও হয়। পুলিশ বলছে, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হয়। তারফলে অবিনাশ পাওয়ার ও তাঁর পুত্র ও এক মহিলা আহত হয়। এদিকে, হামলাকারীরা পাওয়ারের সঙ্গে যে দ্বিতীয় মহিলা থাকছিলেন, তাঁকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে দুই শিশুকে নিয়েও পালায় তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, আশপাশের ঝাড়সুগুড়া ও সম্বলপুরের এলাকাগুলিকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষত বাসস্ট্যান্ডগুলিকে নজরে রাখার কথা বলা হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই সংঘর্ষের জেরে তদন্তের ময়দানে নেমেছে ফরেন্সিক টিম। ঘটনাস্থল থেকে খোঁজ চলছে প্রমাণের। রাউরকেল্লার পুলিশ বলছে,' আমরা বিগত কয়েক বছরে অন্যান্য রাজ্যে অনুরূপ ঘটনা সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি। ভুক্তভোগীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে আমরা এ ঘটনায় চারজনের জড়িত থাকার সন্দেহ করছি। এটি একটি খুব প্রাথমিক পর্যায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিꦕস্তারিত তদন্ত করছি।'