পুলিশ পরিচয় দিয়ে গোপনে ৫টি বিয়ে। তারপরেও ক্ষান্ত হয়নি যুবক। বিয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আরও ৪৯ জন মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। আর প্রতিক্ষেত্রেই যুবক প্রতারণার পর দুবাইয়ে পালিয়ে যেত। অবশেষে এক মহিলা অফিসারকে পাত্রী সাজিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই বিশেষ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ♋পারেশন দুলহে রাজা’। ঘটনাটি ওড়িশার। ধৃত যুবকের নাম সত্যজিৎ মনোগোবিন্দ সামল। সে ওড়িশার জাজপুরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বিয়ের ♓আসরে গিয়ে মত বদল করা প্রতারণা নয়, রায় সুপ্রিম কোর্টের
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই যুবক বিয়ের ওয়েবসাইটের মা⛎ধ্যমে বিহার এবং প্রতিবেশী রাজ্য যেমন উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার বিধবা এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া মহিলাদের টার্গেট করত। এরপর তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে দুবাইয়ে পালিয়ে যেত। তার মোট পাঁচজন স্ত্রীর মধ্যে দুজন ওড়িশার এবং একজন কলকাতা ও দিল্লির বাসিন্দা। পুলিশ পঞ্চম স্ত্রীর বিবরণ জানার চেষ্টা করছে।
ভুবনেশ্বর-কটকের পুলিশ কমিশনার সঞ্জীব পান্ডা জানিয়েছেন, সামলের দুই স্ত্রীর কাছ থেকে পৃথক অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনায় তদন্ত নামে পুলিশ। তারপরেই একে একে সত্যজিতের একাধিক কু𒅌কীর্তি পুলিশের সামনে আসে। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি গাড়ি, একটি মোটর বাইক, নগদ ২.১০ লক্ষ টাকা, একটি পিস্তল, কার্তুজ এবং দুটি বিয়ের চুক্তির শংসাপত্র উদ্ধার করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময়, যুবক স্বীকার করেছে, ৫ জনকে বিয়ে করেছে। তার তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কমিশনার জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগদ টাকা ও গাড়ি দাবি করত সত্যজিৎ। টাকা ফেরত꧙ চাইলে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দিত। তার মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখার পর পুলিশ জানতে পারে সে একটি বিবাহের সাইটে ♔৪৯ জন মহিলার সঙ্গে কথা বলেছে।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, দুই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ‘দুলহে রাজা’ অপারেশন চাল🐽ায়। তাকে গ্রেফতারের জন্য এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে পাত্রী সাজিয়ে টোপ দেওয়া হয়। এরপর ওড়িশায় আসতেই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনায় প্রতারিত মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযোগকারীদের একজন জানান, অভিযুক্ত যুবকক তাঁর কাছ থেকে ৮.১৫ লক্ষ ট🏅াকা মূল্যের গাড়ি নিয়েছিল এবং ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তাকে ৩৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। অন্য অভিযোগকারীও একইভাবে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছিল সত্যজিতকে।