পুরনো নীতির জেরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মামলায় ফ্যাসাদে পড়লেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী। আর তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছিল, তাতে যে যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করে দিলেন বিচারক তানিয়া চুটকান। শুক্রবার আদালতে বিশেষ সরকারি আইনজীবী দাবি করেন যে ‘এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য’ এবং মার্কিন বিচার বিভাগের নীতি মেনে কীভাবে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নির্ধারণের জন্য সময় লাগবে। তাই নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মামলায় যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তা যেন বাতিল করে দেওয়া হয়। যে আর্জি মেনে নেন মার্কিন জেলা বিচারক। ভবিষ্যতে কোন পথে এগোতে চান, সেটা উল্লেখ করে আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশেষ সরকারি আইনজীবীকে আদালতে তথ্য পেশের নির্দেশ দেন তিন♍ি।
মাথাব্যথার কারণ পুরনো নীতিই
আর মার্কিন বিচার বিভাগের যে নীতির কারণে এরকম ফ্যাসাদে পড়তে হয়েছে বিশেষ সরকারি আইনজীবীকে, সেটা সত্তরের দশকে সামনে এসেছিল। ওই নীতি অনুযায়ী, দায়িত্বে থাকার সময় কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও মামলা চালানো যাবে না। যা ট্রাম্পের ক꧑্ষেত্রেও 🐷প্রয়োজ্য হবে।
সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ট্রাম্প যে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন, তারপর মার্কিন বিচౠার বিভাগের আধিকারিকরা মনে করছেন যে সত্তরের দশকের নীতি মেনে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও মামলা চালিয়ে যাওয়া যাবে না।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জোড়া অভিযোগ তুলেছিলেন সরকারি আইনজীবী
সেই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে দুটি মামলা আছে, সেগুলি কীভাবে গুটিয়ে নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। গত বছর বিশেষ সরকারি আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন যে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পালটে দেওয়ার ছক কষেছিলেন ট্রাম্প। আর নিজের এস্টেটে ট্রাম্প গোপনীয় নথি রেখে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন স্মিথ।▨
আর সেই স্মিথকে এখন মূল্যায়ন করে দেখতে হচ্ছে যে আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব দেওয়ার আগেই কীভাবে সেই দুটি মামলা গুটিয়ে ফেলতে পারেন। সেজন্য তাঁর হাতে কিছ🦋ুটা সময় আছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভাღর গ্রহণ করবেন ট্রাম্প।
'দায়িত্ব পাওয়ার ২ সেকেন্ডের মধ্যে ছাঁটাই'
যে ট্রাম্প অতীতে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে দুটি মামলা করা হয়েছে, সেগুলি রাজনৈতিক। আর তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের দু'সেকেন্ডের মধ্যেই বিশেষ সরকারি আইনজীবী স্মিথকে ছা🌳ঁটাই করে দেবেন।