কয়েক বছর আগেই নয়া কর কাঠামো নিয়ে এসেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু সেটায় তেমন উৎসাহ দেখায়নি সাধারণ করদাতারা কারণ পুরনো কর কাঠামোয় অনেক বেশি করছাড়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার নয়া কর কাঠামোকে ঢেলে সাজিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে এই পদ্ধতিতে কর ফাইল করার দিকে মানুষ উৎসাহিত হবে বলেই তাঁর আশা। কত টাকা নগদ আয় করলে কোন পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন ফাইল করলে সুবিধা, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অনেক হিসাব-নিকাশ। তবে সেই সংক্রান্ত হিসাব সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রকের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক। তাতে দেখা যাচ্ছে যদি বিপুল পরিমাণে আপনার কর ছাড় ও ডিডাকশন না থাকে, তাহলে নয়া কর কাঠামো অবলম্বন করাই সুবিধাজনক।বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী, যাদের বার্ষিক আয় সাত লাখের ওপর তাদের কোনও কর দিতে হবে না নয়া কর কাঠামোয়। তবে পুরনো কর কাঠামোয় এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। অর্থমন্ত্রকের এক বরিষ্ঠ কর্তা জানিয়েছেন যারা আইটি রিটার্ন দেওয়ার সময় ৩.৭৫ লাখ টাকার কম ডিডাকশন ক্লেম করেন, তাদের জন্য নয়া কর কাঠামোই লাভজনক। তাতেই তারা বেশি সাশ্রয় করতে পারবেন। কর আদায় সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই ৩.৭৫ লাখের অঙ্কটি বলা হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। অধিকর্তা জানিয়েছেন যে তাঁরা আশাবাদী অধিকাংশ মানুষই পুরনো কর কাঠামো ছেড়ে নয়া কর কাঠামো অবলম্বন করবেন, কারণ খুব বেশি মানুষ বিনিয়োগ, খরচা ও ঋণের খাতে ৩.৭৫ লাখ টাকা ডিডাকশন দেখাতে পারবেন না।খুব শীঘ্রই কর দফতর থেকে অনলাইন ক্যালকুলেটর দেওয়া হবে যাতে করদাতারা তুলনা করে দেখতে পারেন ও নিজের মতো যেটা পছন্দ সেই কাঠামো অবলম্বন করতে পারেন। তবে আয়কর দফতরের আশা যে নয়া কর কাঠামো অবলম্বন করলে অনেক ঝক্কি কমবে করদাতাদের কারণ তাদের ট্যাক্স রিটার্নে ছাড়ের জন্য প্রমাণ জোগাড় করে জমা দিতে হবে না। এখানে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাদ দেওয়ার পর ফ্ল্যাট রেটেই কর দেওয়া যাবে। নয়া নীতি অনুযায়ী ৩-৬ লাখ টাকার স্ল্যাবে ৫ শতাংশ, ৬-৯ লাখের স্ল্যাবে ১০ শতাংশ, ৯-১২ লাখের স্ল্যাবে ১৫ শতাংশ ও ১২-১৫ লাখের স্ল্যাবে ২০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। ১৫ লাখ উর্ধ্বের বার্ষিক আয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। সবটাই করা হয়েছে ধীরে ধীরে নয়া কর কাঠামোয় মানুষ যাতে চলে আসেন, সেটার জন্য। তবে কোনও ভাবে এটাকে বাধ্যতামূলক করা হবে না, সেটাও স্পষ্ট করেছেন অর্থমন্ত্রী।