অসমের সঙ্গে ꦿমিজোরামের সীমান্ত সংঘাত নিয়ে কিছু সময় আগেই এক ভয়াবহ হিংসার পরিস্থিতি দেখেছে দেশের উত্তর পূর্ব অংশ। এরপর দুই রাজ্যের আলোচ♛নার বেশ কিছু পর্ব দেখা যায়। এরপর সদ্য মিজোরামে নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছে জোরাম পিপলস মুভমেন্টের সরকার। আর সেই সরকারের ক্ষমতায় এসেই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা নিলেন পদক্ষেপ। তিনি অসমের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে তৈরি করলেন কমিটি।
মিজোরাম-অসমের সীমান্ত সংঘাত দশক পুরনো। তবে সম্প্রতি সেই সংঘাত ঘিরে হিংসার ছবি দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা সরকারে এসেই এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেবে। আর ভোটে♋র প্রতিশ্রুতি মতোই লালদুহোমার সরকার ক্ষমতায় এসে এই কমিটি গড়েছে। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে মিজোরামে ক্ষমতায় আসে লালদুহোমা প্রশাসন꧟। জানা গিয়েছে, যে কমিটি গড়া হয়েছে তার প্রধান হবেন সেরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সপদঙ্গা। কমিটিতে ভাইস চেয়ারহিসাবে থাকবেন পরিবেশ সংক্রান্ত মন্ত্রী লালথানসাঙ্গা। শুক্রবারই এই কমিটির কথা জানিয়েছে মিজোরাম সরকার। সদ্যই ৩ জানুয়ারি এই বিষয়ে একটি নোটিফিকেশন জারি করেছে লালদুহোমা সরকার। যে নোটিফিকেশনে রয়েছে মিজোরামের বর্তমান মন্ত্রিসভার সম্মতি। এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে মিজোরামের মন্ত্রিসভা সম্মতি দিয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৩এ। উল্লেখ্য, এর আগেও সীমান্ত সমস্যা কাটাতে মিজোরামের আগের সরকার গড়েছিল কমিটি। যা ২০২১ সালে হয়েছিল। তবে সেই কমিটিকে আপাতত মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। এই নয়া কমিটিতে রয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা লালমুয়ান পুইয়া পুন্তে। এছাড়াও থাকছেন মুখ্যসচিব রেনু শর্মা, ডিজিপি অনিল শুক্লা।
যে নোটিিফিকেশন সামনে এসেছে, সেখানে রয়েছে, কমিটিতে ভারতীয় জনতা পার্টি, কংগ্রেস, মিজো♍ ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ), জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম) এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) থেকে একজন করে সদস্য থাকবেন। এছাড়াও কমিটিতে থাকবেন বেশ কিছু এনজিওর সদস্যরা। এনজিও সমন্বয় কমিটি, সেন্ট্রাল ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (সিওয়াইএমএ), মিজো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এমজেডপি), মিজোরাম উপা পাওল (এমইউপি) বা মিজোরাম এল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিজো উইমেনস ইনসুইখওম পাওল (এমএইচআইপি) বা মিজো উইমেন ফেডারেশন, মিজো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এমএসইউ) এবং জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি অন ইনার লাইন রিজার্ভ ফরেস্ট ডিমান্ডের সদস্যরা থাকবেন কমিটিতে।