ব্যস্ত সড়কে পর পর কয়েকজনকে কামড়ে পালাচ্ছি⛄ল কুকুরটি। ১ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ২৯ জনকে সে কামড়েছে। ঘটনা চেন্নাইয়ের রোয়াপুরমের জিএ রোডের। সেখানে কুকুরের তাণ্ডবের জেরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। শেষে ওই কুকুরকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ওই কুকুরটি শুয়ে ছিল চেন্নাইয়ের বড়সড় কমার্শিয়াল এলাকায়। তখনই পথ চলতি মানুষকে আচমকা কামড়াতে শুরু করে কুকুর। পথচলতি মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, বসে যায় কামড়। কুকুরের তাণ্ডবে তোলপাড় হতে থাকে এলাকা। সকলে ছুটে পালাতে থাকেন। তবে কুকুরে তখন রোখা মুশকিল হয়। অনেকেরই পায়ের গোড়ালি, হাঁটুতে কামড়াতে থাকে কুকুরটি। অনেকেই বলছেন, কুকুরটি যখন কামড় বসিয়ে পা চেপে ধরেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ, তখন অনেকেই কুকুরটিকে ছাড়িয়ে দিতে চান। তবে তা সফল হয়নি। কুকুর কামড় বসিয়ে ছিল নাছোড়বান্দা। এক কামড়ে দাঁত বসিয়ে সেখানে চেপে ধরে মানুষকে। আতঙ্ক, যন্ত্রণায় তখন অনেকেই ছটফট করতে থাকেন। এরপরই বাকিরা কুকুরকে মারধর করতে থাকে। শেষে ওই মারধরের জেরে কুকুরটির মৃত্যু হয়েছে। পরে কুকুরের দেহকে মাদ্রাজ ভেটেনারি কলেজে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কলেজের চিকিৎসক বলছেন, ‘কুকুরটির ব়্যাবিস থাকতে পারে। কারণ সে উস্কানি ছাড়াই আগ্রাসন দেখিয়েছে। আমরা দুই দিনেই টেস্ট রিপোর্ট পেয়ে যাব।’ উল্লেখ্য, কিছু মাস আগেই দক্ষিণ ভারতে ব়্যাবিসের আতঙ্ক দেখা যায়। তারপর চেন্নাইয়ের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে, ২৯ জন আহতের মধ্যে ২৪ জনের দেহে রয়েছে লেভেল থ্রি পর্যায়ের কামড়। এই 🔯লেভেল থ্রি পর্যায়টি হল, কুকুরের মুখের নাল চলে যায় মানব শরীরে। মানব শরীরে গভীর ক্ষত তৈরি হয় কুকুরের কামড়ে। সেই কামড়ের ক্ষতস্থান থেকে প্রবল রক্তপাত হয়। এদিকে, আহতদের মধ্যে ১০ জন স্কুল পড়ুয়া। সমস্ত আহতরা স্থানীয় সরকারি স্ট্যানলি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।