সদ্য ইউজিসির সংরক্ষণ ইস্যুতে আসা এক খসড়া প্রস্তাব ঘিরে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছে। ইউজিসির খসড়া গাইডলাইন অনুযায়ী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসসি, এসটি, ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় থাকা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেဣ আসন পূর্ণ না হলে সেই আসনকে সংরক্ষণের♓ আওতায় বাইরে রাখা যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাহুল দাবি করেন, এই নীতির মাধ্যমে ‘কোটা (সংরক্ষণ)’ কে ‘বন্ধ করার ষড়যন্ত্র’ করছে বিজেপি আর আরএসএস। এদিকে, রাহুলের মন্তব্যের পর পাল্টা তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ধর্মেন্দ্র প্রধান কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরেই দাবি করেছেন যে, রাহুলের দাবি মিথ্যাচার আর ‘হয় প্রমাণ দিতে হবে, নয়তো ক্ষমা চাইতে’ হবে রাহুল গান্ধীকে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান দাবি করেন, রাহুলের এই বক্তব্য কংগ্রেসের মিথ্যচারের একটি দিক। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন,'একটি মিথ্যাচারের সত্যিটা যখন বেরিয়ে পড়ে, তখন আরেকটি মিথ্যা তুলে ধরে তারা (কংগ্রেস)। তাঁর (রাহুল গান্ধী) র মিথ্যা বক্তব্যের তালিকা অনন্ত।' ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘রাহুল গান্ধী আর কংগ্রেস এবার মিথ্যাচার করছেন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ নিয়ে। তবে তাঁর এই মিথ্য়াচার বহু তথ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে এবার।’ উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসন ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে নস্যাৎ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘তথ্য থেকে দেখা যাচ্𒅌ছে, মোদী সরকারের সময়ই সংরক্ষিত আসনে অন্যান্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। সর্বমোট নিয়োগ হয়েছে ৬০৮০ টি। সেখানে এসসি ১৪.৩ শতাংশ, এসটি ৭ শতাংশ, ওবিসি ২৩.৪২ শতাংশ। এছাড়াও বাকিদের পদে নিয়োগের কাজ চলছে।’ এর আꦐগে রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে দাবি করেন,' ৪৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০০০ আসনের মধ্যে, ৩০০০ টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ৭.১ শতাংশ দলিত, ১.৬ শতাংশ আদিবাসী, ৪.৫ শতাংশ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ।’তিনি লেখেন, ‘বিজেপি আরএসএস যে সংরক্ষণের কথা বলে, এখন তারা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের এথকে চাকরি ছিনিয়ে নিতে চাইছে যেমন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হচ্ছে।’
ধর্মেন্দ্র প্রধানের সাফ বার্তা, রাহুল গান্ধী মিথ্যাচার করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘কংগ্রেসের পুরনো অভ্যাস রয়েছে সমাজকে ভাঙা আর মিথ্যাচার করে অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়া। কংগ্রেসের মূল চরিত্রই হল এসসি এসটি ওবিসি বিরোধিতা। ক্ষমতায় থাকাকালে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির স্বার্থকে খোলাখুলিভাবে নস্যাৎ করেছে কংগ্রেস।’ ধর্মেন্দ্র প্রধান সাফ জানান, ‘এটা খোলা চ্যালেঞ🦹্জ রাহুল গান্ধীকে, হয় যে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন তার যোগ্যপ্রমাণ দিন নয়তো জনসমক্ষে ক্ষমা চান।’