'এক দেশ, এক ভোট' নীতি সংক্রান্ত কমিটি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তার রিপোর্ট পেশ করেছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি এদিন ১৮,৬২৬ পাতার রিপোর্ট তু꧅লে দিয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এই রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, 'এক দেশ, এক ভোট' এর পক্ষে জোরালোভাবে সায় দিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে প্যানেল তুলে দিয়েছে তার রিপোর্ট। গত ১৯১ দিন ধরে একাধিক বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, গবেষণা পর্যালোচনা করে তারপর তা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠনের পর থেকে এই প্রক্রিয়া চলার পর শেষমেশ ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের মুখে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল এই রিপোর্ট। উল্লেখ্য, যে কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, সেই কমিটিতে সদস্য হিসাবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার সদস্য গুলাম নবি আজাদ, লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপরা। 'এক দেশ, এক ভোট' নীতিকে কার্যকর করতে কমিটি মনে করছে, তা ধাপে ধাপে করা উচিত। তার পক্ষেই রিপোর্টে সায় রয়েছে বলে খবর। দুটি ধরনের নির্বাচন সমান্তরালভাবে চলার কথা বলছে এই রিপোর্ট। কমিটি বলছে, এই নীতিকে ধাপে ধাপে কার্যকর করে সমান্তরালভাবে দুটি নির্বাচনকে কার্যকর করার জন্য।🌳 উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে লোকসভা ভোট ও রাজ্যের বিধানসভা ভোট একইসঙ্গে সমান্তরালভাবে আয়োজনের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। ফলে প্রথম ধাপেই একই সঙ্গে লোকসভা আর বিধানসভা ভোট আয়োজনের পক্ষে সুপারিশ করছে কমিটি। এর পরের ধারে ১০০ দিনের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচনগুলিক সংগঠিত করার কথা বলা হচ্ছে।
এভাবে দুটি সমান্তরাল ভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে বাধ সাধতে পারে কিছু সময়সীমাগত সমস্যা। সেক্ষেত্রে বিধানসভাগুলির মেয়াদের সঙ্গে লোকসভা ভোটের সময়ক্ষণ মিলতে নাও পারে।পিটিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কমিটির রিপোর্ট সায় দিয়েছে, প্রথম একযোগে ভোটের জন্য, সমস্ত রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সময়ের জন্য হতে পারে। এছাড🅷়াও যে ফ্যাক্টরগুলি এই রিপোর্টে নজরে আনা হয়েছে, তারমধ্য কক্ষে ত্রিশꦯঙ্কু অবস্থা বা অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। যদি সম্ভাব্য রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, তাহলে কমিটির পরামর্শ হল, ৫ বছরের মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য নতুন করে ভোট। সরঞ্জাম, জনশক্তি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অগ্রিম পরিকল্পনার মতো ব্যবহারিক বিষয়গুলিও কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন প্যানেল তুলে ধরেছে।