আবারও আত্মঘাতী আইআইটির ছাত্র। আইআ🐓ইটি মাদ্রাজের পিএইচডি-র এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর ভেলাচেরিতে। তাঁর ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম সচিনকুমার জৈন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সচিন মেকানিক্💜যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক ছাত্র। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে পোস্ট করেছিলেন, ‘আমি দুঃখিত, আমি ভালো নেই।’ এই স্ট্যাটাস দেখার পরেই তাঁর বন্ধুরা ভেলাচেরিতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে সচিনকে দেখতে পান। তড়িঘড়ি তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রের আ൩ত্মহত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ🦂 করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। আইআইটির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। চেন্নাইয়ের ভেলাচেরিতে বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীর মৃত্যু আমাদের কাছে বড় ক্ষতি। আমাদের প্রতিষ্ঠান তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানায়। এই কঠিন সন্ধিক্ষণে ছাত্রের পরিবারের গোপনীয়তাকে বজায় রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ ক𒊎রে।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সচিনের এক সহপাঠী জানান, 'সম্প্রতি কোনও একটা বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত দেখছিলাম ওকে। জানতে চেয়েছিলাম,ඣ বলেনি। শুক্রবার সকালের ক্লাসটা করেই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ফিরে যায় সচিন। ভেবেছিলাম, শরীর খারাপ হয়তো। কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও ফিরছে না দেখে ফোন করি। ফোনেও উত্তর না পেয়ে চিন্তিত ভাবেই আমরা কয়েক জন ওর বাড়িতে যাই।' এই নিয়ে চলতি বছরে আইআইটি মাদ্রাজের তিন ছাত্র আত্মঘাতী হলেন। এর আগে ১৪ মার্চ মাদ্রাজ আইআইটি ক্যাম্পাসে বিটেকের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছিলেন। মৃত ছাত্রের নাম ছিল পুষ্পক শ্রী সাই। ২০ বছর বয়সি ওই ছাত্র আইআইটি মাদ্রাজের ক্যাম্পাসে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সংসদেও। গত সোমবার এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে শুধু আইআইটিতেই ৩৩ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App ♈বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup