ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় এখন মৃত্যুমিছিল দেখছে বালেশ্বর। হাহাকার, স্বজনহারানো বেদনা থেকে বাড়ি ফেরা— সব নিয়ে এখন মানুষজন বিভ্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে পুরী, ভুবনেশ্বর এবং কটক থেকে কলকাতার বিনামূল্যে বাস পরিষেবার কথা😼 ঘোষণা করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। এই পরিষেবা চালু করা নিয়ে একটি টুইট করা হয়েছে। সরকারিভাবে সেই টুইট করে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। আর এই পরিষেবা পেয়ে আটকে থাকা মানুষজন বিনামূল্যে কলকাতায় ফিরতে পারবেন।
এদিকে এই বিপদের সময়ে বাসের এজেন্সিগুলি বড় টাকা হাঁকছে। ১৭৫০ টাকা একেক জনের ভাড়া হাঁকতে শুরু করেছিল ২ জুন। এখন সেটাই ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা হাঁকতে শুরু করেছে বেসরকারি বাস এজেন্সিগুলি। এই বিষয়টি কানে গিয়েছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর। তারপরই আজ, রবিবার থেকেই শুরু হবে এই বিনামূল্যের বাস পরিষেবা এবং বালেশ্বর লাইনে ট্রেন চলাচল পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়𒊎া পর্যন্ত চলবে এই পরিষেবা। সুতরাং আটকে থাকা সব মানুষই ফিরে যেতে পারবেন।
অন্যদিকে বালেশ্বর করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। এই মৃত্যুর সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না। তার সঙ্গে উঠেছে ট্রেন দুর্ঘটনার একাধিক কারণ। এই আবহে ওড়িশার স্টেট ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল ট্যুইটার হꦍ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট 🌳করা হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নবীন পট্টনায়ক পুরী, ভুবনেশ্বর ও কটক থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিনামূল্যে বাস পরিষেবার কথা আজ ঘোষণা ক𒉰রলেন। বালেশ্বর রুটে স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন꧋্ত এই পরিষেবা চলবে। প্রত্যেকদিন প্রায় ৫০টি বাস কলকাতা পর্যন্ত এই পরিষেবা দেবে।’
রেলমন্ত্রী ঠিক কী বলছেন? ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন সবাই। এই দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৮৮ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যꦏশবন্তপুর–হাওড়া এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। আজ রবিবার, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গতকালই গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ কর🌌েছেন। আমরা চেষ্টা করছি আজকের মধ্যে রেললাইনটি ঠিক করার। আমাদের টার্গেট রয়েছে, আগামী বুধবার সকালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের কাজ শেষ করে পরিষেবা স্বাভাবিক করা। এই রুটে বহু ট্রেন যাতায়াত করে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার জন্য বহু যাত্রী সমস্যায় পড়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের কাজও শেষ।’ সূত্রের খবর, এই এলাকার পরিস্থিতির কথা জানতে রেলমন্ত্রীকে এদিন ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।