২৫ জুন শনিবার সকালে উদ্বোধন হয়ে গেল 🔜পদ্মা সেতুর। উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উদ্দীপনা চরমে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে তো উন্নতি হবেই, কিন্তু এর পাশাপাশি আরও একটি কারণে এই সেতু নিয়ে বিপুল উৎসাহ বাঙালিদের মধ্যে। তা হল এই সেতুটি পুরোপুরি বাঙালির টাকায় তৈরি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে শনিবার হাসিনাও বলেন, ‘অনেকেই নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁরা ভাবতেন, সব সময়ে বাংলাদেশ অন্যদের উপর নির্ভরশীল থাকবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে শিখিয়েছিলেন।’ (আরও পড়ুন: ‘উত্তাল পদ্মার বুকে গৌরবের প্রত☂ীক', টোল দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হাসিনার)
এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানেও বলা হয়েছে, কিছু কিছু মহল থেকে বলা হচ্ছে, এই সেতু নির্মাণ নাকি চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর অংশ। যদিও এই কথা মোটেই সত্যি নয়। এতে কোনও বৈদেশিক বিনিয়োগ নেই। এখনও পর্যন্ত𒆙 জানা গিয়েছে, সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি🥀। তার পুরোটাই বহন করেছে বাংলাদেশের সরকার।
বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টই জানিয়েছিল, এই সেতু নির্মাণের সব টাকা সরকারই বহন করেছে। অর্থাৎ উপমহাদেশের এই গর্বটির পিছনে ষোল✱൲ো আনা ভূমিকাই রয়েছে বাঙালিদের।
এই সেতুটির কার🍒ণে দেশের দক্ষꦰিণ ও পশ্চিম অংশে যোগাযোগ এক অন্য মাত্রা পাবে। দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ ও ব্যবসা বানিজ্যে বিরাট বদল আসতে চলেছে বলে আশা।
দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সর্ববৃহত সেতু। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য৬.১৫ কিলোমিটার। সেতুটি দেশের দক্ষি꧂ণ ও পশ্চিমের ১৯টি জেলাকে সরাসরি যুক্ত করবে।আগামী ২৫ জুন, উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচল আরম্ভ হবে। অদূর ভবিষ্যতে রেল চলাচলও শুরু হবে।