কানাডায় খলিস্তানি জঙ্গিদের কি মদত দিচ্ছে পাকিস্তান? মাসখানেক আগে কানাডার 'সিকিউরিটি ই🎃নটেলিজেন্স সার্ভিস'-র এক শীর্ষ আধিকারিকের মন্তব্যে সেই সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠেছে। সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে কানাডায় বৈদেশিক হস্তক্ষেপ নিয়ে যে কমিশন গঠিত হয়েছে, সেটির সামনে যখন হাজিরা দেন কানাডার 'সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স সার্ভিস'-র অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা ভেনেসা লয়েড, তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে উত্তর আমেরিকার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান নাক গলায় কিনা। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে খলিস্তানিদের মদতের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেন 'সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স সার্ভিস'-র অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা।
খলিস্তান ও পাকিস্তানের যোগ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, লয়েড দাবি করেন যে ভারতের প্রভাব কমানোর সঙ্গে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের বিষয়টির য💮োগ আছে। এই বিষয়টির ক্ষেত্রে খলিস্তানি উগ্রপন্থার সমর্থনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রভাব🌠ের সরাসরি যোগ আছে বলে দাবি করেন কানাডার 'সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স সার্ভিস'-র অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা লয়েড।
ভারত বনাম কানাডা সংঘাত
এমনিতে গত বছর জুনে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় বুধবার বৈদেশিক হস্তক্ষেপ কমিশনের কাছে কানাডার প্রধানমন♋্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘ভারতকে সহযোগিতা করতে বলেছিল কানাডা। ওরা আমাদের বলে যে আপনারা কতটা জানেন? আমাদের তথ্যপ্রমাণ দিন। আমরা ভারতের নিরাপত্তা এজেন্সিকে আরও তদন্ত করে দেখতে বলেছিলাম এবং আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে বলেছিলাম। কারণ ওই মুহূর্তে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছাড়া কিছু ছিল না।’
তারপরই ট্রুডোকে আক্রমণ শানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আজ যেটা শুনতে পেলাম, সেটা আমরা এতদিন ধরে লাগাতারভাবে বলে আস📖ছিলাম। ভারত এবং ভারতীয় কূটনীতিবিদদের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিল কানাডা, সেটার স্বপক্ষে আমাদের ছিটেফোঁটা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।’ সেইসঙ্গে তিনি বল🍃েন, ‘এই দাম্ভিক ব্যবহারের কারণে ভারত ও কানাডার সম্পর্কে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটার দায় একমাত্র ট্রুডোর উপরই বর্তায়।’
আরও পড়ুন: India vs Canada: ট্রুডোর মুখোশ খুললেন তাঁরই দেশের লোক! বিষ্ণোই⛦ গ্যাংয়ের যোগের দাবি কানাডার
মোদীকে নিয়ে দাবি ট্রুডোর
তারইমধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, গত বছর যখন ভারত♛ে জি২০ সম্মেলন হয়েছিল, সেইসব অভিযোগের ঝুড়ি নিয়ে নয়াদিল্লিকে অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারতেন। কিন্তু সেই রাস্তায় হাঁটেননি। তিনি দাবি করꦫেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে কানাডায় অনেকে ভারত-বিরোধী কথা বলে। তাদের গ্রেফতার করার দাবি তুলেছিলেন।