আফগানিস্তানে ভারতের পꦅ্রভাব দূর করতে তালিবান༒ ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের সাহায্য নিতে তৎপর হয়েছে পাকিস্তান, জানাল পেন্টাগন-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট।
সোমবার প্রকাশিত জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের জন্য আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের ইন্সপেক্টর জেনারেলের তৈরি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে ভারতীয় প্রভাব হঠিয়ে উদ্দ𒀰েশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনা তৈরি করছে ইসলামাবাদ।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা ও তালিবান গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির পরে এই প্রথম প্রাসঙ্গিক রিপোর্ট পেশ করল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যদিও তালিবান ও আফগান সরকারের ♕মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিয়ে মতান্তরের জেরে সেই চুক্তি আপাতত কার্ষকর হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ౠযে, শান্তি স্থাপনের আলোচনায় আফগান তালিবানদের অংশগ্রহণ করায় উৎসাহিত করলেও জঙ্গি গোষ্ঠীকে হিংসাত্মক পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে কোনও চাপ তৈরি করেনি পাকিস্তান। পাশাপাশি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে তালিবান ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদী হাক্কানি সংগঠনকে মদত দিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ।
প্রসঙ্গত, বহু দিন ধরেই পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে তালিবান ও তাদের শাখা সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলছে ভারত ও আফগানিস্তান। অভিযোগ, অধিকাংশ তালিবান নেতা𝕴 ও তাঁদের পরিবার পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে বেশ কিছু কাল ধরে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি আফগানিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খালিজাদ সে দেসে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে তালিবানদের সঙ্গে ভারত সরকারের আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই আবেদনে আদৌ ভারত সাড়া দেবে কি না, তা নয়াদিল্লিই নিতে পারে বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ এশিয়া꧋য় আমেরিকার বিদায়ী প্রতিনিধি অ্যালিস ওয়েলস।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের সাম্প্রতিক রিপোর্টের জবাবে দফতরের ইন্সপেক্টর জেনারেল সিন ও’ডোনেল জানিয়েছেন, চুক্তি সই করার আগে এক সপ্তাহ সংঘর্ষ বিরতি নীতি পালন൩ে সম্মত হয়েছিল আমেরিকা ও তালিবানরা। কিন্তু গত ত্রৈমাসিকে তচালিবানদের নাশকতার মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।