স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জেকশন দেওয়ার জেরে পাকিস্তানের কয়েকজন বাসিন্দা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে খবর। এবার তার জেরে পাকিস্তানের পঞ্জাব সরকার শনিবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে। ডন সংবাদপত্র সূত্রে খবর। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরি Avastin নামে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁরা দৃষ্টিশক্তি হারাতে শুরু করেন। কমিটি তিনদিনের মধ্য়ে রিপোর্ট জমা দেবে। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না হয় সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ডন সংবাদপত্রে। প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি হেল্থকেয়ার সংক্রান্ত মন্ত্রী ডাঃ জামাল নাসির এই চোখের সংক্রমণ ও তার থেকে এভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর নেন। র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, লাহোর, কাসুর ও ঝাং জেলায় রোগীদের মধ্যে আভাস্টিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই তাদের চোখেসমস্যা আরও বেড়ে যায়। মূলত ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্য়ে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। এর জেরে ১২জন রোগী তাঁদের চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এমনকী তার মধ্য়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা চৌধুরী মঞ্জুরের ভাই ও তার বন্ধুও রয়েছেন। শরিফ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আসিফ গিল জানিয়েছেন, ডায়াবেটিক রোগীদের দৃষ্টিশক্তি যাতে ঠিকঠাক থাকে সেজন্য এই আভাস্টিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তিন থেকে চারটি করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেই তাঁরা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন তিনজন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। তারা ফের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাচ্ছেন। খবর ডন সূত্রে। এদিকে মন্ত্রী ডাঃ জামাল জানিয়েছেন, যেখানে এই ওষুধ রাখা হয়েছিল সেই গুদামকে সিল করা হয়েছে। এই ধরনের ইঞ্জেকশন বেচাকেনা বন্ধ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মুলতান ও সাদিকাবাদেও এই ধরনের ঘটনা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের মন্ত্রী নাসির জামাল জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে কতজন এই ইঞ্জেকশনের জেরে সমস্য়ায় পড়েছেন সেটা ঠিক জানা যায়নি। তবে ১৪-২০জন মতো সমস্যায় পড়েছেন। অন্তত ৪০জন ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়েছে। দুজন সরবরাহকারীর বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে।