ঘটনা ইউপিএ শাসনকালের। আর সেই সময়েরই এক ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিস্ফোরক দাবি করেছেন পাকিস্তানের সাংবাদিক নুসরত মির্জা।ইউটিউবার শাকিল চৌধুরিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই পাকিস্তানি সাংবাদিক জানিয়েছেন, ২০০৫ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এই পাকিস্তানি সাংবাদিক বহুবার ভারতে আসেন। কিন্তু খবর সেটা নয়! খবর হল, এই পাকিস্তানি সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারতে আসার পর তিনি বিভিন্ন তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে দিয়েছেন।সেই সময় উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন হামিদ আনসারি। ২০১০ সালে হামিদ আনসারির আমন্ত্রণে একবার ওই পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জা ভারতে এসেছিলেন বলেও জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এক সেমিনারে অংশ নিতে তিনি ভারতে আসেন বলে জানান। এরপর ২০১১ সালে তিনি শেষবার ভারতে আসেন। নুসরত মির্জার দাবি, তিনি ভারত থেকে যে সমস্ত তথ্য একজোট করেছিলেন তা জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাকে। মূলত যখন কোনও পাকিস্তানি ভারতে আসেন, তখন তাঁকে ৩ টি শহরে ঘোরার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ভিসার আবেদনে ৫ টি শহরের উল্লেখ থাকে। সাংবাদিক জানান, তাঁর সঙ্গে তৎকালীন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ কসুরি ছিলেন। দাবি করা হচ্ছে, আর খুরশিদ ওই সাংবাদিককে বলতেন যা তথ্য তিনি ভারত থেকে পেয়েছেন তা যেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান (তৎকালীন) জেনারেল কায়ানিকে দেওয়া হয়। এমন চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।